শিরোনাম
- শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে রিয়াল
- টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭
- নয়জনের দল নিয়েই বায়ার্নকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পিএসজি
- মিশরে দুই মিনিবাসের সংঘর্ষে ৯ জন নিহত, আহত ১১
- তানভীরের জবাব: ক্যাপ্টেনের ভরসাই আত্মবিশ্বাসের চাবিকাঠি
- করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি
- সকালের মধ্যে সাত জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা
- ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে: আমিনুল
- ইমন-হৃদয়-তানভীরের ত্রয়ী দাপট কলম্বোতে
- শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ
- মান্না ছিলেন বাংলাদেশের জেমস বন্ড: জাহিদ হাসান
- জ্ঞানীরা পিআর সিস্টেমে নির্বাচন চায় : ফয়জুল করিম
- পাহাড়ি ফল ঐতিহ্যের অংশ : উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
- পল্লী বিদ্যুতের সাব-যোনাল অফিস স্থানান্তরের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ
- প্রবাসী ভাইয়ের লাশ আনতে গিয়ে প্রাণ গেল দুই ভাইয়ের
- নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে : নার্গিস বেগম
- বিচার ও সংস্কারের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে হবে : নাহিদ
- চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের আনন্দ মিছিল
- উত্তাল বঙ্গোপসাগরে আশ্রয় নিল শত শত ট্রলার, চার বন্দরে সতর্কতা
- বিএনপি নামলে নির্বাচন পেছানোর সাহস কারো নেই : গয়েশ্বর
ঋণের দায়ে প্রাণ দিলেন রাবি কর্মচারী
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন

নিজ বাড়ির বাথরুম থেকে রাজন কুমার (৪৫) নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকাল ৮টার দিকে বাথরুমের দরজা ভেঙে রাজনকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।
দাদনকারবারী ও এনজিও’র ঋণের চাপে রাজন আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করেছে তার পরিবার।
নিহত রাজন কুমারের বাড়ি নগরীর রাজপাড়া থানার লক্ষ্মীপুর বাকির মোড় এলাকায়। তার বাবার নাম অসিত কুমার। রাজন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সুইপার পদের কর্মচারী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে কর্মরত ছিলেন।
রাজনের স্ত্রী রাখি রাণী জানায়, মানব সেবা উন্নয়ন নামে একটি এনজিও থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ঋণ নেয়। এর বিপরীতে মাসে ১০ হাজার টাকা কিস্তি দিতে হয়। আরও সাতটি কিস্তি বাকি আছে। সোমবার কিস্তি দেওয়ার দিন ছিল। কিন্তু তার কাছে কিস্তি দেওয়ার কোন টাকা ছিল না।
এছাড়াও আইডি বাগানপাড়া এলাকার একরাম আলীর ছেলে সাদি নামের এক দাদন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২ লাখ টাকা ঋণ নেয়। সুদ ও আসল মিলে তাকে ৩ লাখ টাকা পরিশোধ করে। সে আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। এর মধ্যে ৩০ হাজার টাকা দেয়। ২০ হাজার টাকার জন্য সাদি ও তার ভাই রকি চাপ দিচ্ছিল। রবিবার রাতে ফোন করে সোমবারের মধ্যে ২০ হাজার টাকা না দিলে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয় সাদি। এ কারণে রাজন আত্মহত্যা করে বলে দাবি করেন তার স্ত্রী রাখি রাণী।
রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, রাজন বাড়ি করার জন্য সুদের উপর একটি এনজিওসহ কয়েকজনের কাছ থেকে ৫-৬ লাখ টাকা ঋণ নেয়। এর মধ্যে কিছু টাকা পরিষদ করেছে। তবে বাকি টাকার জন্য পাওনাদাররা চাপ দিচ্ছিল। এ কারণে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ মৃত্যুর পিছনে আর কোন কারণ আছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান ওসি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল
এই বিভাগের আরও খবর