এক দফা বেড়ে বরিশালে চালের দাম এখন স্থিতিশীল। গত ৩ থেকে ৪ দিন ধরে বরিশালে চালের দাম বাড়েনি, কমেওনি। তবে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে চালের দাম কিছুটা কমতে পারে বলে ধারণা করছেন আড়তদাররা।
বরিশালে চালের পাইকারি আড়ত ফরিয়াপট্টিতে শনিবার প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৬৬ টাকা, ২৮ বালাম ৫৪ টাকা এবং বুলেট চাল (মোটা) ৫০ টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রি হয়েছে। খুচরা দোকানে মিনিকেট ৬৮ টাকা, ২৮ বালাম ৬০ টাকা এবং মোটা চাল (বুলেট) প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৫৫ টাকা কেজি দরে।
গত ১৫ দিন আগে খুচরা বাজারে ২৮ বালাম প্রতিকেজি ৫৬ টাকা, মিনিকেট ৬০ টাকা এবং মোটা চাল প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৫২ টাকা কেজি দরে।
নগরীর ফরিয়াপট্টির চাল ব্যবসায়ী শাহজাহান হাওলাদার জানান, গত কয়েকদিনে ধানের দাম মন প্রতি ২০০ টাকা বেড়েছে। মিলাররা উচ্চমূল্যে সব ধান কিনে মজুদ করেছে। মিলারদের হাতেই সব কিছু। তারা দাম বাড়াতে পারে, আবার কমাতেও পারে। সরকার মিলারদের উপর চাপ সৃষ্টি করলে চালের দাম কিছুটা কমতে পারে বলে তিনি জানান।
ফরিয়াপট্টির আরেক আড়তদার আবদুল বারেক বলেন, গেল বন্যায় ধানের অনেক ক্ষতি হয়েছে। ধানের দাম বেশি। মিলাররা বেশি দামে ধান কিনছে। মিল থেকেই চালের দাম বাড়ানো হয়েছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে চালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। সরকার মিলারদের উপর চাপ সৃষ্টি করলে চালের দাম শিগগিরই কিছুটা কমতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই