রাজধানীর মোহাম্মদপুরের প্রিপারেটরি কলেজের শিক্ষার্থী সামিয়া আক্তার স্নেহা হত্যাকাণ্ডের রহস্য ৮ মাসেও উদঘাটন হয়নি । এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলার এজহারনামীয় আসামি রায়হান গ্রেফতার হলেও মেলেনি কোনো ক্লু।
এদিকে, স্নেহার পরিবারের দাবি, বাল্যবান্ধবী শায়লার সহযোগিতায় পরিকল্পিতভাবে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয় স্নেহাকে। হত্যাকাণ্ডের ১০ দিন আগে থেকেই স্নেহার এক বন্ধু পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতো। এরপরও শায়লাসহ জড়িত অন্যরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। থেমে রয়েছে মামলার তদন্ত কার্যক্রমও। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি হত্যাকাণ্ড নাতি দুর্ঘটনা সেটিই নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। যদি এটি হত্যাকাণ্ড হয় তাহলে জড়িত কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে স্নেহা হত্যার বিচার দাবি করেন নিহতের মা নাজনীন নাহার। এসময় তিনি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন না হওয়া ও জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় না আনায় তদন্ত সংশ্লিষ্টদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
নাজনীন নাহার বলেন, এ ঘটনায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যাওয়া রায়হানের প্ররোচনায় ঘটনার দিন (গত বছরের ৫ জুন) স্নেহাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়েছিল শায়লা। পরে তাদের অপর এক বন্ধু তাহসিনদের বাসার ছাদে নিয়ে যায়। এসময় স্নেহাসহ সেখানে ৫ জন উপস্থিত ছিল। স্নেহাকে হত্যাকাণ্ডে রায়হান ছাড়াও আরো কয়েকজনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। স্নেহার মোবাইল ফোনে ও ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে বিভিন্ন কথাবার্তার প্রমাণও রয়েছে। এরপরও পুলিশ রায়হান ছাড়া আর কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদেরকে গ্রেপ্তার করে জড়িত সবার সর্বোচ্চ বিচার দাবি করেন নাজনীন নাহার।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঢাকা মেট্রো-দক্ষিণের এসআই নাজিম উদ্দিন বলেন, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে। হত্যা নাকি দুর্ঘটনায় মৃত্যু এটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
তিনি আরও বলেন, যদি হত্যাকাণ্ড হয়, তাহলে তদন্তে যারই নাম আসবে তাকেই আইনের আওতায় আনা হবে। স্নেহার পরিবার তার বন্ধুদের গ্রেপ্তারের কথা বলছে শুরু থেকে। যেহেতু সবাই শিক্ষার্থী-সেহেতু উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া আমরা গ্রেপ্তার করতে চাইনি। প্রমাণ পাওয়া গেলে অবশ্যই গ্রেফতার করবো।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ