রংপুর অঞ্চলে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়েছে ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আবহাওয়ার এমন পরিবর্তনে দিনে গরম রাতে শীত অনুভূত হচ্ছে। এধরণের আবহাওয়ায় জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বিরুপ আবহাওয়া বিরাজ করায় ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন রোগ বালাই দেখা দিয়েছে।
রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ মার্চ এই অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রী সেলিসিয়াস। ১৩ মার্চ সর্বোচ্চ ৩২ ডিগ্রী সর্বনিম্ন ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রী, ১৪ মার্চ ৩৩ দশমিক ৫ ডিগ্রী সর্বনিম্ন ১৯ দশমিক ৪ ডিগ্রী, ১৫ মার্চ ৩৩ দশমিক ২ ডিগ্রী এবং সর্বনিম্ন ১৯ দশমিক ৩ ডিগ্রী, ১৬ মার্চ সর্বোচ্চ ৩৩ ডিগ্রী, এবং সর্বনিম্ন ১৯ ডিগ্রী, ১৭ মার্চ ৩৩ দশমিক ৮ ডিগ্রী এবং সর্বনিম্ন ২০ দশমিক ৬ ডিগ্রী এবং সোমবার ১৮ মার্চ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রী এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এধনের তাপমাত্রায় দিনের বেলা গরম এবং রাতের বেলা শীত অনুভূত হচ্ছে। দিনে ফ্যান এসি চললেও রাতে অনেকে লেপ-কম্বল ব্যবহার করছেন। ফলে জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বিরুপ আবহাওয়ার কারণে প্রায় ঘরেই ভাইরাসজনিত জ্বর-সর্দি দেখা দিয়েছে।
এদিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রংপুর বিভাগে আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে জ্বর-সর্দি, কাশি, গলাব্যাথা, মাথা ব্যথাজনিত রোগ বালাই বেড়েছে। রবিবার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে প্রায় সাড়ে ৪’শ রোগী ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮০ জনের বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে।
রংপুর নগরীর শাহী পাড়া কামাল কাছনা এলাকার মাহামুদুল করিমসহ কয়েকজন জানান, তারা বেশ কয়েকদিন থেকে জ্বর-সর্দি জনিত রোগে ভুগছেন।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. ইউনুস আলী বলেন, আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে জ্বরের রোগী বাড়ছে। গরম পড়লে মেডিসিন বিভাগে রোগীদের চাপ পড়তে শুরু করে।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, আনুষ্ঠানিক গ্রীষ্মকাল আসতে কিছুটা দেরি থাকলে স্বাভাবিক কারণেই তাপমাত্রা প্রতিদিনই কমবেশি বাড়বে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল