জাতীয় নাগরিক পার্টি উত্তরাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, জাতীয় পার্টির আন্দোলনের আড়ালে আওয়ামী লীগ রাস্তায় নামলে তা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য বিপদজনক হবে। জাতীয় পার্টির একজনকে মেয়র পদে বসানোর জন্য বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সাথে ওই মিছিলে যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের থাকাটা স্বাভাবিক। তারা একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরীর প্রক্রিয়া করছে।
শনিবার (৩১ মে) দিবাগত রাত দেড়টায় নগরীর পায়রা চত্ত্বরে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, আমি ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে বৃষ্টির জন্য রংপুরে থেমেছি। আমি জানতে পারলাম জিএম কাদেরের বাড়িতে হামলার ঘটনায় রাতে সেনাবাহিনীর টিম বিএনপি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠকদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বিএনপি, এনসিপি নেতাকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে। তবে রাত ১টায় জিজ্ঞাসাবাদ করা একটু দৃষ্টিকটু। আমরা সবাই সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত রয়েছি। দিনের যে কোন সময় তাদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, জিএম কাদের রংপুরে এসে অবৈধ নির্বাচনের বিজয়ী অবৈধ মেয়রকে তার সাবেক পদে বসানোর জন্য স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে মিটিং করেছে। এটি জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার প্রক্রিয়া। যেটা এখানকার ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলন মেনে নিতে পারেনি। তারা তাদের জায়গা থেকে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছে। এসব ফুটেজ রয়েছে। পরবর্তীতে তাদের কেউ নিজেদের রক্ষার জন্য জিএম কাদেরের বাড়িতে হামলা করেছে কি না এ বিষয়টি তদন্ত করতে হবে।
রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, এজাহার দাখিল করেছে। আমরা তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
উল্লেখ্য, ৩০ মে রাতে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগরের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতিসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় এজাহার দাখিল করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্র সমাজের সদস্য সচিব আরিফ আলী। রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় দাখিল করা এ এজাহারে অজ্ঞাত ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। শনিবার মামলা রেকর্ডসহ আসামিদের গ্রেফতারে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জাতীয় পার্টি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল