আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো কেরানীগঞ্জে তাবলীগ জামাত বাংলাদেশের পাঁচ দিনের জোড়। আজ লাখো মুসল্লির আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে আশপাশ এলাকা। সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে শুরু হওয়া আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলীগের বিশ্ব আমির দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভির বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভি। এতে সারা দেশ থেকে আগত তাবলীগের সাথী ছাড়াও আশপাশের এলাকার মুসল্লিরা অংশ নেন। এর আগে ফজরের পর হেদায়তি বয়ান পেশ করেন মুফতি ইউসুফ বিন সা’দ কান্ধলভী, আর তরজমা করেন কাকরাইল মসজিদের মুরুব্বি মাওলানা মনির বিন ইউসুফ।
শুক্রবার থেকে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার শাক্তা ইউনিয়নের মিকাইল এলাকায় শুরু হওয়া এ জোড় মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত চলে। সরেজমিনে দেখা গেছে, এক বর্গ কিলোমিটারজুড়ে বিশাল ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে আশপাশের রাস্তাঘাট ও মাঠেও মুসল্লিরা অবস্থান নেন।
জোড়ে সারা দেশ থেকে তাবলীগ জামাতের তিন চিল্লার সাথী, সময় লাগানো উলামায়ে কেরাম ও মুরুব্বিরা অংশ নেন। এখান থেকে দেশ-বিদেশে ৪০ দিন ও ৪ মাস মেয়াদি জামাত দাওয়াতের কাজে পাঠানো হয়।
তাবলীগ জামাতের কেন্দ্রীয় বিশ্ব মারকাজ দিল্লির নিজামুদ্দিনের মুরুব্বিরাও জোড়ে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান রাখেন।
কাকরাইল মসজিদের মুরুব্বি ও ময়দান প্রস্তুতি কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার মহিবুল্লাহ বলেন, পাঁচ দিনব্যাপী এই জোড় তাবলীগ জামাতের ঐতিহ্যবাহী ও গুরুত্বপূর্ণ একটি দ্বীনি সমাবেশ।
তাবলীগ জামাতের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম জানান, এবারের জোড়ে ২০টি দেশের প্রায় ৬০০ বিদেশি মেহমান অংশ নিয়েছেন। তাঁরা দেশের বিভিন্ন জেলায় দাওয়াতি কাজে অংশ নেবেন। ময়দানে প্রায় লাখাধিক সাথী উপস্থিত ছিলেন।
জোড় ময়দান পরিদর্শন শেষে কেরানীগঞ্জ সার্কেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, লাখো মুসল্লির নিরাপত্তায় পোশাকধারী ও সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যরা একযোগে কাজ করেছেন। বিদেশি মেহমানদের নিরাপত্তায়ও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন