ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, নবাব স্যার সলিমুল্লাহ'র কারণেই ঢাকা রাজধানী হতে পেরেছে। তিনি না হলে ঢাকা নগরী কালের গর্ভে বিলীন হয়ে যেত।
বুধবার বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ঢাকা নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন পরমাণু বিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. সুলতানা শফি, সাবেক রাষ্ট্রদূত মমতাজ হোসেন এবং আবেদ হোল্ডিংস লি'র ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এ কে এম বরকত উল্লাহ, গবেষক প্রফেসর ড. মো. আলমগীর এবং ঢাকা নওয়াব পরিবারের আরমান হাসান, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. এস. এম. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।ড. আলমগীর তার প্রবন্ধে বলেন, ১৯০৫ সালে নওয়াব সলিমুল্লাহ বৃটিশদের সহায়তা নিয়ে বঙ্গবিভাগ করেন। “পূর্ব বঙ্গ ও আসাম” নামে একটি নতুন প্রদেশ গঠন করেন। তখন নতুন ওই প্রদেশের রাজধানী হিসেবে ঢাকায় উন্নয়নের জোয়ার বয়ে গিয়েছিল। এখনকার ঢাকা মেডিকেল কলেজ ভবন, পুরানো হাইকোট ভবন, কার্জন হল, বাংলা একাডেমি ভবন, বুয়েটের আব্দুর রশিদ ভবন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাস ভবন, চামেরী হাউজ ও মিন্টোরোডের আলীশান বাংলোগুলো ওই সময় তৈরি হয়।
কংগ্রেস পন্থী হিন্দুদের তীব্র আন্দোলনের কারণে বৃটিশ শাসক ১৯১১ সালে বঙ্গবিভাগ বাতিল করে না দিলে ঢাকা আরও সমৃদ্ধ হতো। বঙ্গবিভাগ রদের পর নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ দাবির প্রেক্ষিতে বৃটিশ সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রদান করে।
উল্লেখ্য, নওয়াব সলিমুল্লহ স্মরণে গঠিত এই অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানটি নওয়াব সলিমুল্লাহর মূল্যায়নে যে সব দাবি দাওয়া উপস্থাপন করেছেন সেটার সঙ্গে সেমিনারের সভাপতি ও প্রধান অতিথি একমত পোষণ করেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত