২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১০:২৪

জহুর আহমদ চৌধুরীর কবরস্থানের প্রবেশপথে ডাস্টবিন

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

জহুর আহমদ চৌধুরীর কবরস্থানের প্রবেশপথে ডাস্টবিন

চট্টগ্রামে জহুর আহমদ চৌধুরীর কবরস্থানের প্রবেশ পথে বসানো হয়েছে ডাস্টবিন -বাংলাদেশ প্রতিদিন

চট্টগ্রাম মহানগরের দামপাড়ার পল্টন রোড থেকে ১০০ গজ দূরে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সাবেক মন্ত্রী জহুর আহমদ চৌধুরীর কবর। এ ছাড়া এ কবরস্থানে শায়িত হযরত দানিশ শাহ্ চিশতি (রহ.) ও জহুর আহমদ চৌধুরীর সহধর্মিণীসহ পরিবারের লোকজন। কিন্তু কবরস্থানের প্রবেশপথেই রয়েছে ডাস্টবিন। আর ডাস্টবিনের দুর্গন্ধ মাড়িয়েই দর্শনার্থীদের যেতে হয় সেখানে। জহুর আহমদ চৌধুরীর ছেলে শরফুদ্দিন আহমদ চৌধুরী রাজু বলেন, ‘সম্প্রতি সিটি করপোরেশনকে অনুরোধ করার পর নিয়মিত বর্জ্য অপসারণ করা হচ্ছে। তবে আমাদের দাবি, ডাস্টবিনটি অন্য কোনো স্থানে সরানোর। এতে কবরস্থানে যাতায়াতকারীদের দুর্গন্ধ সহ্য করতে হবে না।’ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)-এর অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মোরশেদ আলম বলেন, ‘১০ বছরের বেশি  সময় ধরে সেখানে খোলা ডাস্টবিন ছিল। বর্তমান প্রশাসকের নির্দেশে সম্প্রতি ডাস্টবিন ভেঙে প্লাস্টিকের দুটি বিন বসানো হয়েছে। সেখান থেকে প্রতিদিন বর্জ্য অপসারণ করা হয়। তবে আমরাও মনে করি, এমন জাতীয় ব্যক্তিত্বের কবরস্থানের প্রবেশপথে ডাস্টবিন থাকা সমীচীন নয়। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

গতকাল সরেজমিন গিয়ে জহুর আহমদ চৌধুরীকে যে কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে তার প্রবেশপথে আবর্জনাগারে প্লাস্টিকের দুটি বিন দেখা যায়। তবে সেখানে কোনো বর্জ্য না থাকলেও দুর্গন্ধ ছিল।

প্রসঙ্গত, জহুর আহমদ চৌধুরী ১৯১৬ সালে চট্টগ্রাম মহানগরের উত্তর কাট্টলীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিসভার শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী। তিনি ১৯৭৩ সালের সংসদ নির্বাচনে কোতোয়ালি-পাঁচলাইশ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিযুক্ত হন। জহুর আহমদ চৌধুরী আমৃত্যু আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তাঁর জীবনের সবচেয়ে গৌরবজনক অধ্যায় মুক্তিযুদ্ধ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর