খুলনা মহানগরীর ঐতিহাসিক হাদিস পার্কে নবনির্মিত শহীদ মিনারের পাশের দেয়াল ও সিঁড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে মূল স্থাপনার নিচে ভারবহনে আড়াআড়ি নির্মিত দেয়ালের প্রায় ৩৫ ফুট অংশ দুই ইঞ্চির মতো মাটিতে দেবে গেছে। হস্তান্তরের আগেই এই নির্মাণ ত্রুটি দেখা দেওয়ায় শহীদ মিনারের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই শহীদ মিনার নির্মাণে ব্যয় করা হয়েছে প্রায় সাড় আট কোটি টাকা।
জানা গেছে, খুলনা সিটি করপোরেশনের অধীনে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রূপা এন্টারপ্রাইজ শহীদ মিনারের মূল স্থাপনা নির্মাণ করেছে। দরপত্র অনুযায়ী শহীদ মিনারের একাংশ মাটিতে ও বাকি অংশ পুকুরের পানিতে পিলার দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে মূল স্থাপনার নিচে মাটি ও পানির সংযোগস্থলে আড়াআড়ি একটি দেয়াল দিয়ে ভার বহনের ব্যবস্থা করা হয়। ওই দেয়ালটি দুই ইঞ্চির মতো মাটিতে দেবে গেছে। ফলে স্থাপনার মাঝামাঝি শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে, যা শহীদ মিনারকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, শহীদ মিনারের নিচের দেবে যাওয়া দেয়ালের ফাঁকা অংশ, উপরিভাগের দক্ষিণ পাশের দেয়াল ও সামনের সিঁড়ির ফাটল মেরামতের প্রস্তুতি চলছে।
শহীদ মিনার নির্মাণ তদারকি কর্মকর্তা খুলনা সিটি করপোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী আজমল হোসেন জানান, সামান্য দেবে যাওয়া দেয়ালটি মূলত দুটি স্থাপনার মধ্যকার বাড়তি সংযুক্তি। এটি দেবে গেলেও মূল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হবে না। পার্শ্ব দেয়াল ও সিঁড়িতে ফাটলের বিষয়ে তিনি বলেন, তাড়াহুড়ো করে ফেব্রুয়ারিতে শহীদ মিনারটি ব্যবহারের কারণে সামান্য ফাটল ধরেছে। যেহেতু নির্মাণ কাজের এখন ফিনিশিং কাজ চলছে। ওই ফাটল মেরামত করে নেওয়া হবে।