শনিবার, ৪ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

নারায়ণগঞ্জে স্বামীর লাশ রেখে পালানোর সময় স্ত্রী আটক

পরকীয়ার জের

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ছুরিকাঘাতে নিহত স্বামী হাসান ইসলাম সুমনের (৩৫) লাশ ফেলে পালানোর সময় তার স্ত্রী সায়মা সুমনকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ। গতকাল ভোরে খানপুর হাসপাতাল থেকে তাকে আটক করা হয়।

নিহত হাসান ইসলাম সুমন ফতুল্লার নন্দলালপুর কবরস্থান রোড এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। ঘটনার ব্যাপারে স্ত্রী সায়মা সুমনের দাবি, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার মোবাইলে অপরিচিত নম্বর থেকে একটি ফোন আসে। এ নিয়ে সুমন তাকে সন্দেহ করে এবং বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হয়। এ সময় উভয়ের মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে সায়মা তার স্বামীর পিঠে কয়েক দফা ছুরিকাঘাত করেন। তখন সুমন মাটিতে ঢলে পড়েন। এরপর তাকে একটি রিকশায় করে রাত ২টায় শহরের খানপুর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আবদুল মান্নান জানান, সুমনের পিঠে একাধিক ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। তার বড় ভাই নূরে আলম কামাল জানান, ফতুল্লার দেওভোগ আখড়া এলাকার সোবহানের মেয়ে সায়মাকে ১০ বছর আগে বিয়ে করে সুমন। তাদের ৫ বছরের এক মেয়ে আছে। বিয়ের পর থেকেই সংসারে নানা অশান্তি সৃষ্টি করেছে সায়মা। তিনি আরও বলেন, ‘সায়মা আমার বৃদ্ধ মাকেও সহ্য করতে পারে না। এতে যৌথ পরিবার থেকে তাদের ভিন্ন করে দেওয়া হয়। এরপর থেকে মোবাইলে কথা বলা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। কারণ সায়মা অপরিচিত লোকজনের সঙ্গে মোবাইলে যখন-তখন কথা বলত। স্ত্রীর পরকীয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে সুমন মোবাইল ব্যবহার করতে সায়মাকে বাধা দেয়। এতে সায়মা উল্টো সুমনকে প্রায় সময় মারধর করত।’ তিনি জানান, সুমন বাড়ির পাশে ছবি তোলার স্টুডিওর ব্যবসা করত। ফতুল্লা মডেল থানার এসআই মজিবুর রহমান জানান, এক হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য আরেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশ ফেলে রেখে পালানোর সময় নিহতের স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর