বগুড়ায় এবার দেশি জাতের গরু দিয়ে কোরবানির চাহিদা মেটানো হবে। বগুড়ার ১২ উপজেলার বিভিন্ন খামারে লালন-পালন করা প্রায় সোয়া ৫ লাখ গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলায় কোরবানির চাহিদা রয়েছে প্রায় পৌনে তিন লাখ পশু। বন্যার কারণে জেলার হাটগুলো এখনো জমে ওঠেনি। তবে কিছু কিছু কোরবানির পশু উঠতে শুরু করেছে।
বগুড়া জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, বগুড়ায় প্রায় দুই লাখ কোরবানি পশুর চাহিদা রয়েছে। গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়াসহ কোরবানিযোগ্য প্রাণী জেলায় প্রস্তুত রয়েছে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ। এ পরিমাণ পশু দিয়ে স্থানীয়ভাবে চাহিদা মিটিয়ে জেলার বাইরের হাটে গরুর বেপারিরা সরবরাহ করে। বগুড়ায় খামারে লালন-পালন করা গরুর বড় অংশই চলে যায় ঢাকায়। এবারও ঢাকার পাইকাররা খামারিদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। এ কারণে এবার খামারিরাও আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। জেলা পর্যায়ে বগুড়া শহরের কারবালা টিটিসি সংলগ্ন খামারি আনোয়ারুল হক স্বাধীন ব্রাহমা জাতের গরুর খামার করেছেন। তার খামারের একেকটি গরুর ওজন আনুমানিক ১৭ থেকে ২০ মণ। ব্রাহমা জাতের গরু লালন-পালন করার পর ক্রেতারা খামারের কোরবানিযোগ্য গরু কিনতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। হাটে না তুললেও গরুগুলোর দাম হাঁকা হয়েছে আকারভেদে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা করে। তার খামারে এখন গরু রয়েছে ৫২টি। এ ছাড়া জেলার সারিয়াকান্দি, শেরপুর, নন্দীগ্রাম, বগুড়া সদর, কাহালু ও শিবগঞ্জ উপজেলার খামারিরা কোরবানিযোগ্য পশু নিয়ে হাটে বিক্রি করার প্রস্তুতি নিয়েছে। জেলায় এখনো কোরবানির হাট জমে না উঠলেও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী সপ্তাহ থেকে জেলায় পুরোদমে কোরবানির হাট জমে উঠবে।
বগুড়া জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আ ম শফিউজ্জামান জানান, বগুড়া জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় পৌনে তিন লাখ। জেলায় পশু প্রস্তুত হয়েছে সাড়ে ৫ লাখ। জেলায় খামার রয়েছে ১৮ হাজার ২৬১টি। গত কয়েক বছরে ভারতীয় গরু কম সরবরাহের কারণে জেলায় দেশীয় জাতের গরুর চাহিদা বেড়ে যায়।