দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ ৪ জানুয়ারি। ১৯৪৮ সালের এ দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তদানীন্তন ফজলুল হক মুসলিম হলে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। গত ৭০ বছর ধরে দেশের ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে সংগঠনটির ইতিহাস। ভাষা আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান, মুক্তিযুদ্ধসহ সব গণতান্ত্রিক সংগ্রাম ও আন্দোলনের সঙ্গে ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততা আছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল সংগ্রামে সংগঠনটি ঐতিহাসিক ও উজ্জ্বল নেতৃত্ব দিয়েছে। বাঙালির স্বাধীনতা ও স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যেই মূল দল আওয়ামী লীগের জন্মের এক বছর আগে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল গৌরব ও ঐতিহ্যের এ সংগঠন।
তখনকার তরুণ নেতা শেখ মুজিবের প্রেরণা ও পৃষ্ঠপোষকতায় একঝাঁক মেধাবী তরুণের উদ্যোগে সেদিন যাত্রা করে ছাত্রলীগ। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠনের নেতা-কর্মীরা পরে জাতীয় রাজনীতিতেও নেতৃত্ব দিয়েছেন। এখনো দিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। বর্তমান জাতীয় রাজনীতির অনেক শীর্ষ নেতার রাজনীতিতে হাতেখড়িও হয়েছে ছাত্রলীগ থেকে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনটি উৎসবমুখর করতে অন্যবারের মতো এবারও নেওয়া হয়েছে নানা প্রস্তুতি। টানা চার দিন নানা কর্মসূচি উদযাপন করবেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আজ শুক্রবার সকালে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হবে। এরপর সকাল ৭টায় ঢাকার ধানমন্ডিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সকাল ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল প্রাঙ্গণে কেক কাটা ও জুমার নামাজের পর মিলাদ মাহফিলের আয়োজন হবে।
