বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল মুনীম মুসাদ্দিক আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। পাইলট নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে গতকাল দুদকের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। দুদকের জনসংযোগ কার্যালয় বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মুসাদ্দিক আহমেদ সাংবাদিকদের কাছে নিজেকে নিরপরাধ বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, অনিয়মের সঙ্গে জড়িত নই। আমি কোনো অপরাধ করিনি। গত তিন দিনে মুসাদ্দিক আহমেদসহ বিমানের ১০ কর্মকর্তাকে দুদক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সোমবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকের মুখোমুখি হন বিমানের ভারপ্রাপ্ত এমডি ক্যাপ্টেন ফারহাত হাসান জামিল, বিমানের চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার বিনীত সুধ, পরিচালক (প্ল্যানিং) মাহবুব জামান খান, চিফ অব ট্রেনিং ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ ও পরিচালক (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস) মো. আশরাফুল আলম। এ ছাড়া রবিবার বিমানের পরিচালক (প্রশাসন) পার্থ কুমার পি ত, পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড মেটেরিয়াল ম্যানেজমেন্ট) সাজ্জাদুর রহিম, পরিচালক (কাস্টমার সার্ভিস) মুমিনুল ইসলাম ও জিএম (প্রশাসন) বুশরা ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
পাইলট নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২৩ জুলাই বিমানের সাবেক এমডি আবুল মুনীম মুসাদ্দিক আহমেদসহ ১০ জনকে তলব করে দুদক। দুদক সূত্র জানিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে কর্মরত থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ঘুষ নিয়ে ক্যাডেট পাইলট নিয়োগসহ অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এর আগে গত ২ মে মুসাদ্দিক আহমেদসহ ১০ জনকে বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেয় দুদক।