বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
বুড়িগঙ্গা দূষণ

ওয়াসার বিভ্রান্তিমূলক তথ্যে হাই কোর্টের উষ্মা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বুড়িগঙ্গা নদীতে গিয়ে পড়া পয়ঃনিষ্কাশনের নালা নিয়ে বিপরীতমুখী বিভ্রান্তিমূলক প্রতিবেদন দাখিল করায় ঢাকা ওয়াসার প্রতি উষ্মা প্রকাশ করেছে উচ্চ আদালত। ঢাকার নদী দূষণ রোধে করা এক রিট আবেদন নিয়ে শুনানির সময় গতকাল বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাই কোর্ট বেঞ্চ সংস্থাটির আইনজীবীকে ভর্ৎসনা করেন।

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা আবেদনটির পক্ষে সংগঠনটির সভাপতি আইনজীবী মনজিল মোরসেদ শুনানি করেন। ওয়াসার পক্ষে শুনানিতে আইনজীবী এ এম মাছুম, পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষে আইনজীবী আমাতুল করিম ও বিআইডব্লিউটিএর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মফিজুর রহমান।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিটিএ) প্রতিবেদনে উল্লিখিত ৬৮টির বাইরে ওয়াসার আর কোনো পয়ঃনিষ্কাশন নালা বুড়িগঙ্গায় পড়ে থাকলে সেগুলো বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। নির্দেশনাটি বিআইডব্লিটি একেই বাস্তবায়ন করে আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে হলফনামা দিতে বলেছে আদালত। আগামী রবিবার পরবর্তী আদেশের জন্য রেখে আদালত বলেছে, যদিও এই ৬৮টি পয়ঃপ্রণালি লাইন বন্ধ করার   দায়িত্ব ওয়াসার। তাদেরই এগুলো বন্ধ করা উচিত।

 এছাড়া সদরঘাট থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত বুড়িগঙ্গার উত্তর পাড়ে বন্ধ করা ১৮ কারখানার বাইরে অবৈধ কোনো কারখানা থাকলে সেগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়ে পরিবেশ অধিদফতরকে হলফনামা দিতে বলেছে আদালত।

পরে মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, বিআইডব্লিটিএর প্রতিবেদনে ওয়াসার ৬৮টি নালা বুড়িগঙ্গায় গিয়ে পড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু এক হলফনামায় ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেছেন, বুড়িগঙ্গায় ওয়াসার কোনো পয়ঃপ্রণালি লাইন নেই। আবার আরেক হলফনামায় বলেছেন ১৬টি আছে। শুনানিতে ওয়াসার আইনজীবী যথাযথ প্রক্রিয়ায় দাখিল করা হয়নি উল্লেখ করে হলফনামা প্রত্যাহার করে নিতে চাইলে আদালত হলফনামা দুটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।

সর্বশেষ খবর