বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ভারতীয় মন্ত্রীর মন্তব্য বাংলাদেশের জনগণের জন্য লজ্জাকর ও অপমানজনক। তিনি বলেন, লাখো শহীদের প্রাণের বিনিময়ে, অসংখ্য মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি পাকিস্তান থেকে বেরিয়ে এসে ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার আশায় নয়। গতকাল দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আহমেদ এ মন্তব্য করেন। জনগণকে নিজ দেশেই পরাধীন করে রেখেছে সরকার। উপনিবেশিক আমলে জনগণের যেটুকু স্বাধীনতা ছিল সেটুকুও কেড়ে নিয়েছে সরকার। ভোটাধিকারসহ কোনো অধিকারই আর অবশিষ্ট নেই। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘ভারতের নাগরিকত্বের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলে অর্ধেক মানুষ বাংলাদেশ ছেড়ে দেবে’- ভারতীয় মন্ত্রীর এ বক্তব্যের পরও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কোনো রকমের প্রতিবাদ জানানো হয়নি। বিএনপি মুখপাত্র বলেন, ‘শনিবার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- কে ভোট দিল, কে দিল না- তা বিবেচনা করে না আওয়ামী লীগ।
এ বক্তব্যের মাধ্যমে শেখ হাসিনা প্রকাশ্যেই স্বীকার করে নিলেন, তার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য কিংবা সরকার গঠনের জন্য দেশের জনগণ কিংবা জনগণের ভোটের প্রয়োজন হয় না। প্রয়োজন হয় নিশিরাত আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জনগণের প্রতি, জনগণের ভোটাধিকারের প্রতি এমন অবজ্ঞা ও তাচ্ছিল্যপূর্ণ মন্তব্য একমাত্র সরকারপ্রধান এবং তাঁর দল আওয়ামী লীগের পক্ষেই সম্ভব। খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্পর্কে তিনি বলেন, দলীয় চেয়ারপারসনের মুক্তির জন্য সারা দেশে আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত আছে। দুই দিন আগেও বড় সমাবেশ করেছি। আমরা এখনো তাঁর মুক্তি দাবি করছি। তিনি বলেন, প্যারোলের আবেদন ও পরিবারের দেওয়া চিঠির বিষয়ে সম্পূর্ণভাবে অবগত নই। এ বিষয়ে যখন জানতে পারব- তখন অবশ্যই আপনাদের জানাব। তবে তাঁর স্বাস্থ্যের বিষয়টি নিয়ে আমরা বারবার তুলে ধরেছি। তার অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ। সে জন্য এ মুহূর্তে তাঁর মুক্তি দাবি করছি।
