শিরোনাম
রবিবার, ৩১ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

রংপুরের সুশীল সমাজে হতাশা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

আগামীকাল পয়েলা জুন থেকে সীমিত আকারে চলবে গণপরিবহন। এ অবস্থায় করোনা পরিস্থিতি কী ভয়ঙ্কর অবস্থায় উপনীত হবে- এ নিয়ে রংপুরে চলছে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা। অনেকেই ভাবছেন জীবিকার চাকা সচল করতে গিয়ে জীবনের চাকা থেমে যাবে নাতো! করোনা আক্রান্তের এই ঊর্ধ্বমুখী সময়ে সবকিছু খুলে দেওয়া হলে স্বাস্থ্যবিধি কতটুকু মানা হবে এ নিয়েও দেখা দিয়েছে সংশয়।

রংপুরের সুশীল সমাজ, রাজনীতিবিদ, শিক্ষার্থী, মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে এমন আতঙ্কের আভাস পাওয়া গেছে। রংপুর মহানগর মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের কমান্ডার সদরুল আলম দুলু বলেন, লকডাউন অবস্থায় মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানেনি। গণপরিবহন ও অফিস খুলে দিলে মানুষ আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে। পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাবে বলে আশঙ্কা করছি। জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক ফখরুল আলম বেঞ্জু বলেন, সবকিছু খুলে দেওয়া হলে পরিস্থিতি ভালোর চেয়ে খারাপ হওয়ার শঙ্কাই বেশি। জেলা সুজনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন বলেন, এ সিদ্ধান্ত অনেকটা আত্মঘাতী হতে পারে। জীবিকার চাকা সচল করতে গিয়ে জীবনের চাকা থেমে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

নগরীর জিএলরায় রোডের ব্যবসায়ী বশির হোসেন বলেন, পরিস্থিতি খারাপ কিংবা ভালো হবে তা বুঝা যাবে দুই সপ্তাহ পরে। কারণ চলাচলের ক্ষেত্রে সরকার যদি নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারে তা হলে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা দুটোই বাড়বে। জেলা গণফোরামের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, এই অবস্থায় সরকারের এই সিদ্ধান্তটি সঠিক হয়নি। সরকারের এই সিদ্ধান্তের জন্য জনগণকে মাশুল দিতে হবে। বিভাগের মধ্যে করোনা আক্রান্তের দিক দিয়ে রংপুর শীর্ষে। সরকারের সিদ্ধান্তের ফলে এখানকার পরিস্থিতি আরও  খারাপ হবে। 

সর্বশেষ খবর