রবিবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

পুলিশ মেসে এক গ্লাসে ২৫ জনের পানি পান

অভিযোগের শেষ নেই খাবারের মান নিয়ে

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

অভিযোগের শেষ নেই চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) ১০টি খাবার মেস পরিচালনাকারীর বিরুদ্ধে। নিম্নমানের খাবার সরবরাহ, ম্যানু অনুযায়ী না দেওয়াসহ অব্যবস্থাপনার নানা অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তবে, সিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দাবি মেসের খাবার মান উন্নতসহ সব কিছু তদারকি করতে উদ্যাগ নেওয়া হয়েছে। সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, ‘সিএমপির মেসগুলোর খাবার মান ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমরা খুব একটা সন্তুষ্ট না। মেসগুলোর ব্যবস্থাপনা এবং খাবার মান উন্নত করতে একজন অতিরিক্ত উপ-কমিশনারের নেতৃত্বে কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটি সব কিছু তদারকি করবে। আশা করছি দ্রুতই মেসগুলোর অবস্থা উন্নত হবে।’ জানা যায়, সিএমপি পুলিশ সদস্যদের জন্য নগরীতে ১০টি খাবার মেস রয়েছে। এসব মেসে প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন হাজার পুলিশ সদস্যের খাবার রান্না করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, প্রতি সপ্তাহে রোটেশন অনুযায়ী উন্নতমানের চাল, মাছ এবং মাংস দেওয়ার শর্ত রয়েছে। তবে, ম্যানুর সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই। চালের মান অত্যন্ত নিম্নমানের। মুরগি, মাছ ও মাংসের টুকরোগুলো আকারে অনেক ছোট। মেসে বসার স্থান অত্যন্ত নোংরা। ২০ থেকে ২৫ জনকে একটি গ্লাসে পানি খেতে হয়। নিয়ম রয়েছে প্রতি তিন মাস পর পর নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন ম্যানেজার নির্বাচন করে মেস পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার। অথচ একেকজন আট থেকে ১০ বছর ধরে একটানা মেস পরিচালনা করে আসছে। তাদের মধ্যে অনেকে চাকরি জীবনের শুরু থেকেই মেস পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। পুলিশ সদস্যদের অভিযোগ, খাবারের টাকা আত্মসাৎ করে বিপুল অর্থ-বিত্তের মালিক বনে  গেছেন দীর্ঘদিন ধরে ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ সদস্য বলেন, খাবার মেসের পরিবেশ সব সময় খুবই নোংরা থাকে। খাবার ম্যানু নির্ধারণ করা থাকলেও বাস্তবে কোন মিল নেই। চাল খুবই নিম্ন মানের। মাছ মাংসের টুকরোগুলো আকারে হয় খুবই ছোট। এ বিষয়ে বার বার অভিযোগ করা হলেও কার্যত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

অভিযোগের বিষয়ে সিএমপির ট্রাফিক বন্দর মেস পরিচালনাকারী জসিম উদ্দিন বলেন, ‘মেস পরিচালনার সার্বিক তদারকি করছেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। মেস পরিচালনা কোনো অনিয়ম হলে তাদের চোখ এড়াতো না।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর