রবিবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

স্বরূপকাঠি পৌর নির্বাচনে শঙ্কা সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে

পিরোজপুর প্রতিনিধি

পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার স্বরূপকাঠি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৩০ জানুয়ারি। তবে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। এ শঙ্কা ভোটারদের মধ্যে যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে অধিকাংশ প্রার্থীর মধ্যে। বিগত পৌর নির্বাচনের তিক্ত অভিজ্ঞতা এ শঙ্কার কারণ। এ বছরের নির্বাচনকে সুন্দর ও সুষ্ঠু করার দাবি সব প্রার্থীর।

জানা যায়, এবারের স্বরূপকাঠি পৌর নির্বাচনে ছয়জন মেয়র প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। পাশাপাশি রয়েছেন ৫০ জন কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে রয়েছেন একাধিক মেয়র প্রার্থী। বিদ্রোহী প্রার্থী আছেন নৌকা ও ধানের শীষ দুই প্রতীকেরই। ফলে সুবিধায় রয়েছেন স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া মেয়র প্রার্থী।

স্বরূপকাঠি পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র গোলাম কবির (নৌকা), বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক মেয়র মো. শফিকুল ইসলাম ফরিদ (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মো. নুরুল ইসলাম (লাঙ্গল), পৌর যুবলীগের সভাপতি শিশির কর্মকার (জগ), পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ (নারিকেল গাছ) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মাহমুদুর রহমান খান (মোবাইল ফোন)।

ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবারের স্বরূপকাঠি পৌর নির্বাচনে তারা ভোট দেবেন প্রতীক দেখে নয়, প্রার্থী দেখে। ভোট দিতে তারা মূল্যায়ন করবেন প্রার্থীদের অতীত কর্মকান্ড, আচার-আচরণ ও সামাজিক অবস্থান। তবে তাদের মধ্যে শঙ্কা রয়েছে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে। কেননা বিগত পৌরসভা নির্বাচনে স্বরূপকাঠিতে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছিল। বিশেষ করে নির্বাচনের দিন বহিরাগতদের উপস্থিতি ও তাদের দিয়ে ভোট কেন্দ্র দখল করার বিষয়টি ছিল অন্যতম। সে ঘটনা মনে করে শঙ্কিত ভোটাররা। নির্বাচন নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন অধিকাংশ মেয়র প্রার্থী। জগ প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে নির্বাচনে অংশ নেওয়া পৌর যুবলীগের সভাপতি শিশির কর্মকার বলেন, ‘বহিরাগতদের আনাগোনা রয়েছে এবারও। একটি পক্ষ চাইছে বহিরাগতদের দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোট কবজা করার। আমি যুবলীগ করি বা সরকারি দলে আছি, এর পরও আমি চাই না ভোটে কোনো প্রভাব থাকুক। আমি এবং অধিকাংশ প্রার্থী চান, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হোক। জনগণ তাদের ভোট নিজেদের পছন্দমতো প্রার্থীকে সুষ্ঠু পরিবেশে দিতে পারুক।’ তিনি বলেন, বহিরাগতদের বিষয়ে মৌখিকভাবে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানানো হবে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান খান জানান, ইতিমধ্যে তার কর্মী-সমর্থকদের হুমকি দেওয়া শুরু হয়েছে। এবারের নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে সম্পন্ন হয়, সেই দাবি রেখেছেন তিনি প্রশাসনের কাছে। বিশেষ করে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা কোনোভাবেই যাতে নির্বাচনের পরিবেশ বিনষ্ট না করতে পারে, সংশ্লষ্টদের প্রতি সেদিকে লক্ষ্য রাখার জোর দাবি জানান তিনি।

পিরোজপুরের পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম স্বরূপকাঠি পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে বলেন, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর এ বিষয়ে প্রশাসন কোনো ছাড় দেবে না। বিগত নির্বাচনের অভিজ্ঞতা বিষয়ে ভোটার বা প্রার্থীদের শঙ্কা সম্পর্কে তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার বা আগের কোনো বিষয়ে শঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। এ বছরের নির্বাচন সম্পূর্ণ সুষ্ঠু পরিবেশে সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর