সিলেটে বেড়েছে খুন-খারাবি ও সহিংসতা। তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ঘটছে খুনোখুনি। বেশির ভাগ ঘটনা ঘটছে পারিবারিক দ্বন্দ্ব ও জমি নিয়ে বিরোধে- এমন দাবি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। কয়েকটি খুনের ঘটনার পর বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে লাশ। খুনিরা লাশ ফেলে গেলেও রেখে যায়নি কোনো আলামত। ফলে কী কারণে, কারা এসব খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনো রয়ে গেছে অনুদঘাটিত। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পর্যন্ত ছয় দিনে সিলেট বিভাগে ৮টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ২টি, সুনামগঞ্জে ৩টি, হবিগঞ্জে ২টি ও মৌলভীবাজারে ১টি খুনের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া গত জানুয়ারি মাসের শেষ ১০ দিনে আরও অন্তত ৭টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি জগন্নাথপুরের আমিনপুর গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে দ্বিতীয় স্ত্রীর লাঠির আঘাতে খুন হয়েছেন মো. আলেম মিয়া নামের এক বৃদ্ধ। হত্যাকান্ডের পর থেকে ঘাতক স্ত্রী পলাতক রয়েছে। এর আগের দিন হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার চৌধুরীপাড়ায় ঘরে ঢুকে জাকিয়া খাতুন (৬৫) নামের এক বৃদ্ধাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে খুন করে দুর্বৃত্তরা। এখন পর্যন্ত হত্যাকান্ডের ক্লু উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। একই দিন খেতের জমিতে পানি সেচ নিয়ে বিরোধের জের ধরে বাহুবল উপজেলার ফতেহপুর গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় মারা যান জামাল মিয়া নামের এক যুবক। ৪ ফেব্রুয়ারি পাওনা ২০০ টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে সিলেট নগরীতের হাওলাদারপাড়া মজুমদার পল্লীতে খুন হন রাজু দাস নামের এক যুবক। এ ঘটনায় সজীব রায় নামের এক যুবক গ্রেফতার হলেও অন্য আসামিরা রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ওই দিন সুনামগঞ্জের ছাতকের জামুরাইল গ্রামে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে বড় ভাইয়ের বল্লমের আঘাতে মারা যান ছোট ভাই পারভেজ মিয়া (৩৮)। ২ ফেব্রুয়ারি পৈতৃক ভিটে নিয়ে বিরোধের জের ধরে চাচাতো ভাইয়ের হামলায় মারা যান সৌদি প্রবাসী শামীম আহমদ। মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার মুকন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ১ ফেব্রুয়ারি সিলেট নগরীর লালবাজারে হোটেল মোহাম্মদীয়ার পেছন থেকে উদ্ধার করা হয় রেজাউল করিম হায়াত নামের এক পল্লী চিকিৎসকের লাশ। এ ঘটনায় হোটেলের ম্যানেজার ও বয়কে সন্দিগ্ধ হিসেবে আটক করা হলেও এখনো এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া গত ২৮ জানুয়ারি গোয়াইনঘাটের হাতিরখাল গ্রামে সন্ত্রাসী হামলায় এক যুবক মারা যান। একই দিন জৈন্তাপুরের বড়গাঙ নদীতে রক্তমাখা ব্যাগের ভিতর থেকে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২৭ জানুয়ারি সিলেটের বিয়ানীবাজারের গজারাই দিঘিরপাড় এলাকার হাওর থেকে অর্ধদগ্ধ অবস্থায় এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ হত্যাকান্ডের ক্লু এখনো উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। গত ২১ জানুয়ারি ওসমানীনগরে কালু মিয়া নামের এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যাকান্ড বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. জেদান আল মুসা গণমাধ্যমকে জানান, খুনের ঘটনা বাড়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন দৃঢ় হলে মানুষ খারাপ কাজ করতে অনেক চিন্তা করে। আর এটি দুর্বল হয়ে পড়লে মানুষের মাঝে নিষ্ঠুরতার মাত্রা বেড়ে যায়। শুধু আইন আর শাস্তি দিয়ে সহিংসতা বন্ধ করা সম্ভব নয়।
শিরোনাম
- শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে রিয়াল
- টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭
- নয়জনের দল নিয়েই বায়ার্নকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পিএসজি
- মিশরে দুই মিনিবাসের সংঘর্ষে ৯ জন নিহত, আহত ১১
- তানভীরের জবাব: ক্যাপ্টেনের ভরসাই আত্মবিশ্বাসের চাবিকাঠি
- করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি
- সকালের মধ্যে সাত জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা
- ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে: আমিনুল
- ইমন-হৃদয়-তানভীরের ত্রয়ী দাপট কলম্বোতে
- শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ
- মান্না ছিলেন বাংলাদেশের জেমস বন্ড: জাহিদ হাসান
- জ্ঞানীরা পিআর সিস্টেমে নির্বাচন চায় : ফয়জুল করিম
- পাহাড়ি ফল ঐতিহ্যের অংশ : উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
- পল্লী বিদ্যুতের সাব-যোনাল অফিস স্থানান্তরের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ
- প্রবাসী ভাইয়ের লাশ আনতে গিয়ে প্রাণ গেল দুই ভাইয়ের
- নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে : নার্গিস বেগম
- বিচার ও সংস্কারের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে হবে : নাহিদ
- চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের আনন্দ মিছিল
- উত্তাল বঙ্গোপসাগরে আশ্রয় নিল শত শত ট্রলার, চার বন্দরে সতর্কতা
- বিএনপি নামলে নির্বাচন পেছানোর সাহস কারো নেই : গয়েশ্বর
তুচ্ছ ঘটনায় বাড়ছে খুনোখুনি
সিলেটে ১৫ দিনে ১৩ হত্যাকান্ড
শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট
প্রিন্ট ভার্সন

টপিক
এই বিভাগের আরও খবর