চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) উপনির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত একজন কাউন্সিলর প্রার্থীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ২০ জন কাউন্সিলর হতে চান চকবাজার ওয়ার্ডে। আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থীর মধ্যে ত্যাগী, যোগ্য নেতাদের পাশাপাশি বিতর্কিত কিশোর গ্যাং লিডারও নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। ফলে প্রশাসন সুষ্ঠু নির্বাচনে আশাবাদী হলেও আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় ভোটাররা। উল্লেখ্য, কাউন্সিলর সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিন্টুর মৃত্যুর কারণে চকবাজার ওয়ার্ডে ৭ অক্টোবর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। জাকির হোসেনসহ স্থানীয় একাধিক ভোটার বলেন, বিগত নির্বাচনের মতো এ নির্বাচনে একক প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। দল সরকারে থাকায় ক্ষমতা প্রয়োগ করে প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার চেষ্টা করছেন অনেকেই। এতে মারামারি-হামলা-সংঘর্ষের মতো ঘটনা ঘটারও আশঙ্কা করা হচ্ছে। চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, দলের অনেকেই এখন বঙ্গবন্ধু কিংবা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম বিক্রি করছেন। রাজনৈতিক দলের নেতাদের নাম বিক্রি করেও অনেকে পোস্টার করেছেন। তবে যোগ্য ব্যক্তি নির্বাচিত না হলে চকবাজার ওয়ার্ড নষ্ট হয়ে যাবে। ক্রীড়া সংগঠক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী আকবর হোসেন চৌধুরী মিন্টু বলেন, চকবাজার ওয়ার্ডে অনেকেই প্রার্থী হয়েছেন, যাদের ভোটাররাই চেনেন না। রাজনীতিতেও নেই কোনো অবদান। এখানে বিতর্কিত প্রার্থীও রয়েছেন।

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী তিনি।

এবার চকবাজার ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে মোট ২১ জন নির্বাচন করছেন। প্রার্থীরা হলেন- ক্রীড়া সংগঠক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী আকবর হোসেন চৌধুরী (মিন্টু), চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে এম সালাহউদ্দিন কাউসার লাবু, কায়সার আহমেদ, কাউন্সিলর মরহুম সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টুর স্ত্রী মেহেরুন্নেছা খানম, আবুল কালাম চৌধুরী, মো. জাবেদ, দেলোয়ার হোসাইন, কাজি মো. ইমরান, মমতাজ খান, নুরুল হুদা, নোমান চৌধুরী, রুবেল ছিদ্দীকি, সেলিম রহমান, আজিজুর রহমান, আবদুর রইফ, আলাউদ্দিন, নুরুল মোস্তফা টিনু, শাহেদুল আজম শাকিল, সামজেত নেওয়াজ ও শওকত ওসমান। জানা গেছে, চকবাজার ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৩২ হাজার ৪২। এখানে পুরুষ ভোটার ১৬ হাজার ২১৬ ও নারী  ভোটার ১৫ হাজার ৮২৫।