মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

পিঁয়াজের কেজি ৬৫, কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

পিঁয়াজের কেজি ৬৫, কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা

হুহু করে বাড়ছে পিঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের দাম। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পিঁয়াজে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। পাশাপাশি কাঁচা মরিচের দামও অকল্পনীয়ভাবে বেড়েছে। পিঁয়াজের কেজি ৬৫ আর কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে রাজধানীতে। তবে হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। গতকাল রাজধানীর শান্তিনগর, খিলগাঁও, মিরপুর-১১, মুসলিম বাজার ও কালশী বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। এদিকে বন্যা, ভারতীয় পিঁয়াজ কম আসা এবং দেশে উৎপাদিত পিঁয়াজের সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। যদিও বিক্রেতারা বলছেন, পূজার পর পিঁয়াজের দাম কমার সম্ভাবনা আছে। সরেজমিনে দেখা যায়, মিরপুর, খিলগাঁও ও শান্তিনগর বাজারে পিঁয়াজের কেজি ৬৫ টাকা। খুচরা দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। তবে মিরপুরে কাঁচা মরিচের দাম এক রাতের ব্যবধানেই কমেছে ৪০ টাকা। সেখানে পণ্যটি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। কিন্তু শান্তিনগর ও খিলগাঁও বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ এখনো ২০০ টাকা। শান্তিনগরের একজন খুচরা পিঁয়াজ বিক্রেতা বলেন, ‘তিন দিন আগে শ্যামবাজার থেকে দেশি পিঁয়াজ ৪৫ টাকা পাইকারি দামে এনেছি। রবিবার পিঁয়াজ কেনার জন্য গেলে আড়তদার জানান দাম বেড়ে প্রতি কেজি ৬০ টাকা হয়েছে। সে দামে পিঁয়াজ কিনে শান্তিনগর বাজার পর্যন্ত আনতে পরিবহন খরচ বাবদ ২ টাকা যোগ হয়। তাহলে আপনিই বলেন আমরা কয় টাকায় পিঁয়াজ বিক্রি করব!’ মিরপুর-১১ বাজারের একজন বিক্রেতা বলেন, ‘পূজার কারণে ভারত থেকে আসতে পারছে না পিঁয়াজ, এজন্য দাম বেড়েছে। পূজার পর দাম কমতে পারে।’ মিরপুর-১২ এলাকার একজন খুচরা বিক্রেতা বলেন, ‘হুট করে কেজিতে বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা পিঁয়াজের দাম। মনে হয় সিন্ডিকেটের কারণে এমনটা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অন্য দেশে পণ্যের দাম বাড়লে লোকজন কেনা কমিয়ে দেয়, আন্দোলন করে দাম কমানোর জন্য। কিন্তু আমাদের দেশে উল্টো চিত্র।

বরিশালেও পিঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা : দেশের অনেক জায়গার মতো বরিশালেও পিঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এ ঘটনা ঘটল। খুচরা পর্যায়ে দাম আরও বেশি বলে জানা গেছে। কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই পিঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।

তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, মোকামে পিঁয়াজের দাম বেড়েছে। এ অবস্থায় তারা কেনা মূল্যের সঙ্গে সামান্য লাভ রেখে পিঁয়াজ বিক্রি করছেন।

গতকাল দুপুরে বরিশালের বৃহত্তম বাজার পিঁয়াজপট্টি গিয়ে দেখা গেছে, দেশি পিঁয়াজ পাইকারীতে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে এবং আমদানিকৃত পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা দরে। খুচরা পর্যায়ে দেশি পিঁয়াজ ৬০ টাকা এবং এলসির পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজি দরে। জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগে এই আড়তে দেশি পিঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৮ টাকায় এবং এলসির পিঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪১ থেকে ৪২ টাকা কেজি দরে। খুচরা পর্যায়ে তখন দেশি পিঁয়াজ বিক্রি হয় ৪৫ টাকা এবং এলসির পিঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।

ওয়াকিবহালরা বলছেন, বাজারের দিকে সরকারের কোনো নজরদারি না থাকায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো নিত্যপণ্যের দাম বাড়াচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারকে কঠোর হওয়া উচিত।

সর্বশেষ খবর