ডেঙ্গুর বাড়তি প্রকোপে যখন রাজধানীবাসী আতঙ্কে, ঠিক সেসময় রাস্তায় ছিন্নমূল মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। রাজধানীর শাহবাগ ও রমনা এলাকার ফুটপাত, পার্ক এবং উন্মুক্ত স্থানে রাত কাটানো অসহায় মানুষেরা প্রতিদিনই ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে থাকেন। তাদের নেই নিরাপদ আশ্রয়, নেই মশারি—ন্যূনতম সুরক্ষাটুকুও।
এই বাস্তবতা থেকেই ‘মানুষ মানুষের জন্য’ মানবিক ভাবনায় বসুন্ধরা শুভসংঘের একদল তরুণ এগিয়ে আসে মশারি নিয়ে। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বসুন্ধরা শুভসংঘ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মিলটনের দিকনির্দেশনা ও উপস্থিতিতে শুভসংঘ রমনা থানা শাখা এ মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করে।
রাত নেমে আসার পর স্বেচ্ছাসেবকরা রাস্তায়, ফুটপাতে ও বাসস্টপের আশপাশে ঘুমিয়ে থাকা মানুষদের খুঁজে খুঁজে মশারি বিতরণ করেন। অনেকের জন্য স্বেচ্ছাসেবকরা নিজেরাই মশারি টাঙিয়ে দিয়ে সহযোগিতা করেন।
কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেন রমনা শাখার সভাপতি আশিক আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিব হাসান। সঙ্গে ছিলেন সহ-সভাপতি তানিয়া পুষ্প, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইব্রাহীম খলিল, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক সাব্বির, সদস্য রুবেল, আনোয়ারসহ আরও অনেক নিবেদিতপ্রাণ স্বেচ্ছাসেবক।
মশারি হাতে পেয়ে অনেক পথশয্যায়ী মানুষ আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, ‘এটা শুধু একটা মশারি নয়, আমাদের জন্য নিরাপদ ঘুমের উপহার।’
রমনার তরুণদের এই প্রচেষ্টা শহরের ব্যস্ততার মাঝেও মানবিকতার আলো ছড়িয়ে দেয়। ডেঙ্গু প্রতিরোধে শুধু নিজেকে বা পরিবারকে সুরক্ষিত রাখলেই হবে না—সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও উপেক্ষিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোই পারে প্রকৃত মানবিক উদ্যোগের পরিচয় তুলে ধরতে। শুভসংঘের এই প্রয়াস তাই শুধু মশারি বিতরণ নয়, বরং সহমর্মিতা, নিরাপত্তা ও মানবতার এক অনন্য উদাহরণ।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল