শুক্রবার, ১১ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

ট্রাফিকের মামলা, শিক্ষার্থীদের অবরোধ, ছাত্রলীগের প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

ট্রাফিকের মামলা, শিক্ষার্থীদের অবরোধ, ছাত্রলীগের প্রত্যাহার

সিলেট নগরীর টিলাগড় পয়েন্টে মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন চার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। প্রায় এক ঘণ্টা পর ছাত্রলীগ নেতাদের হস্তক্ষেপে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন। চার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষার্থীদের হয়রানি নিরসনে স্থায়ী উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দেন ছাত্রলীগ নেতারা। সড়ক অবরোধকারীদের মধ্যে ছিলেন- সিলেট এমসি কলেজ, সরকারি কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। জানা গেছে, গতকাল দুপুরে ট্রাফিক পক্ষের প্রথম দিন টিলাগড় পয়েন্টে দেলোয়ার হোসেন রাহী নামের এক শিক্ষার্থীর মোটরসাইকেল আটকান এক ট্রাফিক সার্জেন্ট। ওই শিক্ষার্থীর হেলমেট না থাকাসহ আরও কয়েকটি অভিযোগে মামলা দেন সার্জেন্ট।

 এই খবর পেয়ে পাশর্^বর্তী এমসি কলেজ ও সরকারি কলেজ থেকে শতাধিক শিক্ষার্থী এসে জড়ো হন টিলাগড় পয়েন্টে। তারা সড়ক অবরোধ করে ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেন। খবর পেয়ে অবরোধ কর্মসূচিতে এসে অংশ নেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা। বেলা ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত সড়কে টায়ার জ¦লিয়ে বিক্ষোভ চলাকালে সিলেট-তামাবিল সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

দেলোয়ার হোসেন রাহী জানান, তার মোটরসাইকেলের কাগজপত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স সবই ঠিক ছিল। শুধু হেলমেট না থাকায় ট্রাফিক সার্জেন্ট ১৫ হাজার টাকার মামলা দেন। গতকাল আরও দুই শিক্ষার্থীকে এভাবে কয়েক হাজার টাকার মামলা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান রাহী।

এদিকে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের খবর পেয়ে টিলাগড় ছুটে যান সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল আলম। তিনি শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি একাত্মতা পোষণ করে জনদুর্ভোগ লাঘবে অবরোধ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। ট্রাফিক কর্তৃক যাতে শিক্ষার্থীরা হয়রানির শিকার না হন এ ব্যাপারে স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে আগামী দুই দিনের মধ্যে চার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের আশ্বাস দেন তিনি। টিলাগড় পয়েন্ট থেকে পুলিশ ক্যাম্পও প্রত্যাহারের দাবি জানান নাজমুল। ছাত্রলীগ সভাপতির আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা অবরোধ প্রত্যাহার করেন।

এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা শাহপরান থানার সহকারী কমিশনার ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়ন করা হবে। যাতে কোনো শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার না হন, সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর