শুক্রবার, ১১ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা
সংক্ষিপ্ত

রেগুলেশন ফর ডিজিটাল সোশ্যাল মিডিয়ার খসড়া ত্রুটিপূর্ণ

-ড. ইফতেখারুজ্জামান

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘রেগুলেশন ফর ডিজিটাল, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যান্ড ওটিটি প্ল্যাটফরমস’ আইনের খসড়ায় গুরুতর ত্রুটি রয়েছে বলে দাবি করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। একই সঙ্গে খসড়াটি সংবিধান পরিপন্থী, নিবর্তনমূলক, পরস্পরবিরোধী ও বাস্তবায়ন অনুপযোগী বলেও মনে করেন তিনি। গতকাল টিআইবির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে। খসড়াটি বাতিল করে, সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় নতুন একটি খসড়া প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন তিনি। ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, রেগুলেশনের কার্যকারিতা বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে সীমিত রাখা হয়নি। ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার, সার্ভিস ও অ্যাপ্লিকেশনের কোনো সংজ্ঞা দেওয়া হয়নি। খসড়া প্রণয়নকারীরা অনুধাবন করতে পারেননি যে তারা বিশেষায়িত পরিষেবাগুলোর ক্ষেত্রে মৌলিকভাবে ত্রুটিপূর্ণ সংজ্ঞা দিয়েছেন। এতে মনে হচ্ছে ব্যবহারগত, প্রযুক্তিগত ও পরিচালনাগতভাবে পুরোপুরি আলাদা হওয়ার পরও একসঙ্গে একাধিক পরিষেবাকে নিয়ন্ত্রণের জন্য সবকিছুকে এক মাপকাঠিতে মাপার চেষ্টা করা হয়েছে।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রচলিত টেলিযোগাযোগ ও সম্প্রচার নীতিমালা কোনোভাবেই প্রাসঙ্গিক না হলেও একেই ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়েছে। আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে কার্যক্রম শুরু করা, ভ্যাট ও ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর নেওয়া এবং বিটিআরসির কাছে রেজিস্ট্রেশনের বিষয়গুলো যে এই বিশেষায়িত পরিষেবাগুলোর জন্য প্রযোজ্য নয়, সেটা খসড়ায় বিবেচনা করা হয়নি। পাশাপাশি বিটিআরসিকে রেজিস্ট্রেশন বাতিলের যে ঢালাও এখতিয়ার দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে তাতে গুরুতর পরিচালন ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো এই রেগুলেশনেও ‘অপমানসূচক’, ‘ক্ষতিকর’, ‘আপত্তিকর’ অথবা ‘সরকারি গোপনীয়তা ভঙ্গ’ এসব শব্দবন্ধ ব্যবহার করা হয়েছে, যার কোনো সর্বজনগ্রাহ্য সংজ্ঞা আমাদের সামনে নেই। এমন পরিস্থিতিতে এসব কারণে কনটেন্ট ব্লক করার যে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে, তা মারাত্মক অপপ্রয়োগের ঝুঁকি তৈরি করবে। আর কনটেন্ট ব্লক করার জন্য যে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে, তা একেবারেই অপ্রতুল, তাতে হয়রানি আরও বাড়বে।

তিনি বলেন, বিশেষায়িত এসব পরিষেবার বিপুল ব্যবহার, জনগণের মৌলিক মানবাধিকার, আন্তর্জাতিক মানদন্ড এবং বিদেশি বিনিয়োগের মতো বিষয়গুলো এখানে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই এ-সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের দায়িত্ব জাতীয় সংসদের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে খসড়া প্রণয়নে বিশেষায়িত এসব পরিষেবার বিষয়ে উপযুক্ত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা আছে এমন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর