মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

মহাসড়কের জমি বন্ধক রেখে ঋণ দুদককে অনুসন্ধানের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের সরকারি জমি বন্ধক রেখে একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে ১৫ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার ঘটনা অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। আগামী ২৬ জুনের মধ্যে অনুসন্ধান করে এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে দুদককে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি রুল জারি করেছে আদালত। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রবিবার ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরার আজমপুর অংশের মহাসড়কের সরকারি জমি বন্ধক রেখে ১৫ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার ঘটনা তদন্ত চেয়ে রিট করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ওবায়েদ আহমেদ এ রিট দায়ের করেন। রিট আবেদনে ১৬ এপ্রিল বাংলাদেশ প্রতিদিনে ‘মহাসড়ক বন্ধক দেখিয়ে লুটপাট ১৫ কোটি টাকা’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, মহাসড়কের সরকারি জমি বন্ধক রেখে একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে ১৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন মো. গোলাম ফারুক নামের এক প্রতারক। ব্যাংকের অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই তিনি বাগিয়ে নেন মোটা অঙ্কের এ ঋণ।

তবে সেটি ধরা পড়ার পর আবার সংশোধন করেন দলিল। এবার আগের বন্ধককৃত জমির দাগ নম্বর পরিবর্তন করে ব্যাংকে জমা দেন। সংশোধিত দলিলের জমিতে বন্ধকি সম্পত্তির সাইনবোর্ড স্থাপনের চেষ্টা করলে ব্যাংক জানতে পারে সেটিও ভুয়া। সংশোধিত দলিলের জমির আসল মালিক জামির আলী।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২৭ শতাংশ ওই জমি দখলে নিতে একাধিকবার তার ওপর হামলা ও হত্যাচেষ্টা চলে। অবশেষে ১৪ এপ্রিল রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে ফারুকসহ তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ফিরোজ আল মামুন ওরফে ফিরোজকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

রিটকারী আইনজীবী বলেন, গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সম্প্রতি গোলাম ফারুক একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন। কিন্তু মহাসড়কের জমি বন্ধকের ঘটনায় কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই ওই ঘটনার তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। দুর্নীতির ঘটনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর