বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

ক্রসফায়ারে হুমকির অভিযোগ পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার এক প্রবাসী ও দুই সন্তান নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। জাপান প্রবাসীর স্ত্রী বা গৃহবধূকে ভাগিয়ে নিয়ে উল্টো স্বামী ও দুই সন্তানকে ক্রসফায়ার দেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের কনস্টেবল রিমন বড়ুয়ার বিরুদ্ধে। গতকাল বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী প্রবাসী স্বামী সুকুমার বড়ুয়া এ অভিযোগ করেন। পুলিশ কনস্টেবল রিমন বড়ুয়া বর্তমানে কুমিল্লার হাইওয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে কর্মরত। ভুক্তভোগী সুকুমার বড়ুয়ার বাড়ি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিলক গ্রামে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সুকুমার বড়ুয়া আরও বলেন, ২০০৪ সালের ৮ নভেম্বর আমরা পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। বর্তমানে আমাদের ১৭ বছরের এক মেয়ে ও ১১ বছরের এক ছেলে আছে। দীর্ঘদিন ধরে জাপানে অবস্থান করার সুবাদে তার স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন পুলিশ কনস্টেবল রিমন বড়ুয়া।

গত কয়েক মাস আগে জোর করে ২০ লাখ টাকা ও প্রায় ২০ ভরি স্বর্ণসহ আমার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যায় পুলিশের কনস্টেবল। তিনি বলেন, আমার স্ত্রীর সঙ্গে রিমনের অবৈধ মেলামেশার বিষয়টি সন্তানরা দেখে ফেললে মুঠোফোনে বিষয়টি আমাকে অবহিত করে। এরপর আমি দেশে এসে রিমনকে আমার সংসার না ভাঙার অনুরোধ করি। একাধিকবার বলার পরও রিমন বিষয়টি আমলে নেয়নি। উল্টো র‌্যাবে চাকরি করার সুবাদে তিনি আমাকে ক্রসফায়ারে হত্যা করবেন বলে হুমকি দেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, সবশেষ গত ১ মার্চ রিমন আমার স্ত্রীকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম নিয়ে যায়। এ বিষয়ে রাজধানীর সবুজবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়। দুই দিন অজ্ঞাত স্থানে রাখার পর ৩ মার্চ রিমন আমার স্ত্রীকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেন। এরপর ২২ মার্চ পুনরায় নগদ ২০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ আমার স্ত্রীকে রিমন নিয়ে যায়। সেই থেকে আমার স্ত্রীর আর  খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

সুকুমার বড়ুয়া বলেন, পুলিশ দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। কিন্তু রিমনের মতো কিছু অসাধু পুলিশের কারণে এ বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। তাই আমি এ ঘটনায় সম্পৃক্ত পুলিশের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

সংবাদ সম্মেলনে সুকুমার বড়ুয়ার মেয়ে পূজা বলেন, পুলিশ সদস্য রিমন বড়ুয়া আমার বাবা ও আমাদেরকে ক্রসফায়ার দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আমরা গত কয়েক মাস ধরেই মাকে পাচ্ছি না। আমরা আমাদের মাকে ফেরত চাই।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর