প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে নিরক্ষর মানুষ থাকবে না। এ জন্য উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশে সাক্ষরতা বৃদ্ধি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে গতকাল মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী। আজ ৮ সেপ্টেম্বর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও সাক্ষরতা দিবস পালিত হবে। এবারের দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘সাক্ষরতা শিখন ক্ষেত্রের প্রসার’। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। আজ সকাল ১১টায় উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো অডিটরিয়ামে সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন।
এ ছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বর্তমানে দেশে সাক্ষরতার হার ৭৫ দশমিক ৬ শতাংশ। এখানো ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ সাক্ষরতার বাইরে। তাদের সাক্ষরতার আওতায় আনতে নানা ধরনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হচ্ছে। দেশের ৬৪ জেলার নির্বাচিত ২৪৮টি উপজেলার ১৫ থেকে ৪৫ বয়সী ৪৪ লাখ ৬০ হাজার নিরক্ষরকে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মাধ্যমে মৌলিক সাক্ষরতা জ্ঞান দেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে ২১ লাখ নিরক্ষর নারী-পুরুষকে সাক্ষরতা প্রদান করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।