রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

দর্শকদের ভালোবাসা জয় করেছে অপারেশন সুন্দরবন : আইজিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

দর্শকদের ভালোবাসা জয় করতে পেরেছে বলে ‘অপারেশন সুন্দরবন’ মুক্তির পর থেকে প্রশংসায় ভাসছে। ২ ঘণ্টা ২১ মিনিট দর্শকদের মনোযোগ ধরে রাখাটাও ছবিটির একটা সাফল্য। ছবিটি ঝুলে যায়নি। টানটান উত্তেজনা ও সাসপেন্সে ভরপুর ছিল বলে ছবিটি দর্শকরা গ্রহণ করেছে। ভিএফএক্স, সাউন্ড কোয়ালিটি, শিল্পীদের অভিনয়, কলাকুশলীদের মুন্সিয়ানায় ‘অপারেশন সুন্দরবন’ ছবিটি একটি ভিন্নধর্মী ও মানসম্পন্ন চলচ্চিত্রের কাতারে স্থান পেয়েছে। শুক্রবার বসুন্ধরার স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘অপারেশন সুন্দরবন’ ডলবি শো দেখার পর এসব কথা বলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেন, আমাদের র‌্যাব ট্রুপস ও অফিসাররাও দুর্দান্ত কাজ করেছেন। নানা মাত্রিকতায় অপারেশনের দৃশ্যগুলো তুলে ধরা হয়েছে। ছবিটি না দেখলে বোঝা যাবে না আমাদের অফিসাররা কত চৌকশ ও তারা কত পরিশ্রম করতে পারে। দর্শকরা ছবিটি গ্রহণ করেছে এটিই আমাদের বড় সাফল্য। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন, উপপরিচালক মেজর হুসাইন রইসুল আজম মনি, নির্মাতা অরুণ চৌধুরী, চয়নিকা চৌধুরী, অভিনেত্রী তানজিকা, এস এ হক অলিক, অভিনেত্রী ও নির্দেশক হৃদি হক, রায়হান রাফি ও ‘অপারেশন সুন্দরবন’ ছবির শিল্পী ও কলাকুশলীরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে সুন্দরবনকে জলদস্যুমুক্ত করার লক্ষ্যে অভিযানে নামে এলিট ফোর্স র‌্যাব।

র‌্যাবের সাঁড়াশি ও রোমাঞ্চকর অভিযানের মধ্য দিয়ে জলদস্যুমুক্ত হয় সুন্দরবন। ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনকে জলদস্যুমুক্ত ঘোষণা করেন। র‌্যাবের নানা সাফল্যগাথা নিয়ে ‘অপারেশন সুন্দরবন’ ছবিটি নির্মাণ করে এলিট ফোর্স র‌্যাব।

‘অপারেশন সুন্দরবন’ নির্মাণের গল্প উল্লেখ করে পুলিশ প্রধান বলেন, জলদস্যুদের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত সুন্দরবনের শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে অপারেশন শুরু করে র‌্যাব। অফিসার ও ট্রুপসদের দক্ষতা ও চৌকশ অপারেশনের মাধ্যমে সুন্দরবনকে জলদস্যুমুক্ত করা হয়। আর সেই সাফল্যগাথা ফ্রেমে ফ্রেমে জাতির সামনে তুলে ধরার লক্ষ্যেই ‘অপারেশন সুন্দরবন’ বানানোর পরিকল্পনা করি। তবে, মাত্র একটি ছবিতে র‌্যাবের সাফল্য তুলে ধরা সম্ভব না। আমি মনে করি, এই ছবিটি র‌্যাবের বহু সাফল্যের একটা অংশ। ছবিটি নির্মাণের পরিকল্পনার পরে দীপনকে বললাম তুমি সুন্দরবনে যাও, সেখানে থাক, সেখানকার ভাওয়ালি, মধু সংগ্রহকারী, জেলেসহ সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বল এবং সেসব নিয়ে স্ক্রিপ্ট কর।

দীপন তাই করল। স্বাধীনতার পর প্রায় ৪০ বছর ধরে জলদস্যুদের অভয়ারণ্য ছিল সুন্দরবন। র‌্যাব সুন্দরবনকে জলদস্যুমুক্ত করার পাশাপাশি একটি গুণগত মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র উপহার দিতে পেরেছে। এর আগে দীপংকর দীপনকে দিয়ে যখন ‘ঢাকা অ্যাটাক’ নির্মাণ করি তখন আমি পুলিশ কমিশনার। ছবিটি যখন মুক্তি পায় তখন আমি র‌্যাবের ডিজি। আর ‘অপারেশন সুন্দরবন’ বানানোর পরিকল্পনার সময় আমি র‌্যাবের ডিজি আর ছবিটি মুক্তির সময় আমি পুলিশের আইজি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর