মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ঠাণ্ডাজনিত রোগে কাবু শিশুরা

হাসপাতালে ঠাঁই নেই খুলনায়, হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

ঠাণ্ডাজনিত রোগে কাবু শিশুরা

খুলনায় ডেঙ্গু সংক্রমণের মধ্যেই ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। শীতের মৌসুমের শুরুতেই সর্দিজ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। খুলনা শিশু হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৮০০ অসুস্থ শিশুর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে বহির্বিভাগে (আউটডোর) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে প্রতিদিন গড়ে ৬০০ শিশুকে। হাসপাতালে নির্ধারিত ২৭৬টি শয্যায় অসুস্থ শিশুরা ভর্তি থাকায় নতুন করে কাউকে ভর্তি নিতে পারছেন না চিকিৎসকরা। ফলে গুরুতর অসুস্থ হলেও শয্যা সংকটে বাড়িতে রেখেই অনেক শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদিকে শিশুদের পাশাপাশি বয়স্করাও সর্দি-কাশি, গলাব্যথা, শারীরিক দুর্বলতা ও অল্প জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। খুলনা জেনারেল হাসপাতাল ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঠাণ্ডাজনিত অসুস্থতায় ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। 

খুলনা শিশু হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. কামরুজ্জামান জানান, হাসপাতালের ২৭৬টি বেডের সবগুলোতে রোগী ভর্তি রয়েছে। নতুন করে অসুস্থ কোনো শিশুকে ভর্তি করা যাচ্ছে না। আউটডোরে প্রতিদিন ঠাণ্ডাজনিত অসুস্থতায় ৬০০-৬৫০ শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অবস্থা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তিনি বলেন, শীত মৌসুমের শুরুতে ঠাণ্ডা-গরমে শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশি নিউমোনিয়া রোগে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে। এ সময় মায়েদের উচিত শিশুদের ভারী কাপড় না পরানো। এতে শিশু ঘেমে বুকে ঠাণ্ডা জমে অসুস্থ হতে পারে। শিশুদের তরল জাতীয় পানীয় ফলের রস, স্যালাইন পানি, কুসুম গরম পানি বেশি খাওয়াতে হবে।

চিকিৎসকরা বলছেন, সাধারণত শিশু ও বয়স্কদের এ ধরনের অসুস্থতা ৪-৫ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। তবে অসুস্থতা বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সংক্রমণ এড়াতে বারবার হাত ধোয়া, নাকে-মুখে হাত না দেওয়া, আক্রান্তের নিত্য ব্যবহার্য জিনিসপত্র ব্যবহার না করা উচিত।

অন্যদিকে শীত মৌসুম শুরু হলেও ডেঙ্গুর প্রকোপ কমেনি। চলতি নভেম্বরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে ৫৭১ জন। এর মধ্যে মারা গেছে দুই শিশুসহ আটজন। যাদের বাড়ি খুলনার বাগেরহাট ও আশপাশের জেলায়। বর্তমানে হাসপাতলে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৪৮ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে খুলনা জেলার ১২ জন ও বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ৩৬ জন রোগী রয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর