সাভারে ছয় ছাত্রের কাছ থেকে হাফ ভাড়া না নেওয়ার প্রতিবাদে নীলাচল নামের একটি পরিবহনের ১৭টি গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় পরিবহন কর্তৃপক্ষ হাফ পাসের দাবি মেনে নিলে পৌনে এক ঘণ্টা পর বাসগুলো ছেড়ে দেয় তারা। গতকাল দুপুর ২টার দিকে সাভারের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বাইশমাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম সুজন বলেন, মানিকগঞ্জ থেকে বাইশমাইল এলাকার মির্জা গোলাম হাফিজ কলেজে আসার জন্য ছয় ছাত্র নীলাচল পরিবহনের বাসে ওঠে। এর মধ্যে বাথুলি এলাকায় ওয়েবিলের চেকার বাসে থাকা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও গণবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাফ পাস অনুমোদন করেন। তবে ওই ছয় কলেজছাত্রের হাফ পাস না কেটে পুরো ভাড়া দিতে হবে বলে জানায়। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়ান ওয়েবিল চেকার। এর জেরে ছাত্ররা বাইশমাইল এলাকায় এসে মহাসড়কে চলাচলরত নীলাচল পরিবহনের ১৭টি বাস আটকে দেয়। এতে সড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়।
ভোগান্তিতে পড়েন এসব বাসের যাত্রীরা। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় পরিবহন কর্তৃপক্ষ এসে হাফ পাসের দাবি মেনে নিলে বাসগুলো ছেড়ে দেয় শিক্ষার্থীরা।
নীলাচল পরিবহনের ভ্রাম্যমাণ পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীদের হাফ পাস না কাটায় ওই চেকারকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এখন থেকে হাফ পাস নেওয়া হবে।আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফরহাদ বিন করিম বলেন, শিক্ষার্থীরা সড়কে নীলাচল পরিবহনের কয়েকটি বাস আটকে দিয়ে ছিল। পরে মালিকপক্ষ এসে তাদের হাফ পাসের বিষয়ে আশ্বস্ত করলে শিক্ষার্থীরা আটকে রাখা বাসগুলো ছেড়ে দেয়। পরে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়।