শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা
সংসদে আলোচনা

মনে হয় ইউএনও ডিসিরাই দেশটার মালিক

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের ‘খবরদারি’ নিয়ে জাতীয় সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের এলাকায় যে সরকারি কর্মকর্তা আছেন, ইউএনও (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা), ডিসি-তাঁরাই মনে হয় দেশটার মালিক। তাঁরা যা করেন, সেটাই চলে। সরকারি ত্রাণের একটা কম্বল পর্যন্ত আমরা দিতে পারি না।’ এই হচ্ছে আমাদের অবস্থা।’ তাঁর মতে, এখন জনপ্রতিনিধিরা নন, প্রকৃত ক্ষমতার মালিক তাঁরাই (সরকারি কর্মকর্তারা)। জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশনের গতকালের বৈঠকে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় আরও অংশ নেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, বর্ষীয়ান পার্লামেন্টারিয়ান বীরেন শিকদার, সরকারি দলের এমপি এম আবদুল লতিফ, নূর মোহম্মদ, শবনম জাহান, মোয়াজ্জেম হোসেন সওদাগর, আছলাম হোসেন সওদাগর, হাবিব হাসান, খান আহমেদ শুভ। আওয়ামী লীগের দবিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ভোটে জিতে এমপি হলে কী হবে, ডিসি এসপিরা আমাদের কথা মানেন না। আমরা এখানে যা-ই বলি না কেন, আমাদের কোনো কাজ বা কথা আমলারা মানে না। এই সংসদে অনেকেই আছেন, যাঁদের এলাকায় কর্মকর্তারা রাজত্ব চালাচ্ছেন। আমরা নামমাত্র নির্বাচিত হয়েছি, প্রকৃত ক্ষমতার মালিক তাঁরাই।’ ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে সংসদ সদস্যকে সম্পৃক্ত না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে দবিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ইউএনও, সরকারি কর্মকর্তা যাঁরা, তাঁদের দয়ায় চলছি। আমি সাতবারের এমপি। একটা কম্বল পর্যন্ত আমরা দিতে পারি না। নিজেরা আমরা কম্বল কিনে দিচ্ছি। কিন্তু সরকারি যে ত্রাণ আসে, সেগুলোর একটাও আমাদের দেওয়া হয় না। আমরা চাই, তাঁরা দয়া করে বলেন, ‘লোকটাকে পাঠিয়ে দিন একটা স্লিপ দিয়ে। আমি কম্বলটা দিয়ে দেব।’ ঠাকুরগাঁও-২ আসনের এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, ‘ভাবটা এই যে তাঁদের কথায় যুদ্ধ করে দেশটা স্বাধীন হয়েছিল। আমরা তাঁদের কাছে অবাঞ্ছিত ব্যক্তি। আমরা কিছু চাইলে, কোনো কাজ করতে বললে, কোনো লোক পাঠালে আমাদের কথা শোনা হয় না।’

সর্বশেষ খবর