শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

নীলফামারীতে দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি কমলা

নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীতে দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি কমলা

নীলফামারী জেলার সমতলে ফলেছে ভারতের দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি জাতের কমলা সাদকি। আকারে বড়, রসালো এ কমলার রং ও স্বাদ রয়েছে অটুট। সদর উপজেলার কচুকাটা ইউনিয়নের কচুকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে এ আর মামুন নার্সারিতে গড়ে তুলেছেন পাহাড়ি সাদকি জাতের কমলার বাগান। ২০১৩ সালে ভারতের দার্জিলিং থেকে দুটি সাদকি জাতের কমলার চারা এনে রোপণ করেছিলেন নার্সারিতে। সেখান থেকে চারা তৈরির পর গত বছর থেকে পরিপূর্ণ ফল পেতে শুরু করেছেন ৬০টি গাছে। বর্তমানে তার নার্সারিতে ৮০ হাজার সাদকি জাতের কমলার চারা রয়েছে। শুধু কমলা এবং মালটা মিলে নার্সারিতে রয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার চারা। ২০০১ সালে এক বিঘা জমি চুক্তি নিয়ে শুরু করেন নার্সারি ব্যবসা। দিনে দিনে বাড়তে থাকে এর প্রসার। বর্তমানে ২৫ বিঘা জমি কিনে বাড়িয়েছেন নার্সারির এলাকা। সেখানে প্রতিদিন কাজ করছেন ৩৫ শ্রমিক। এ ছাড়া চায়না কমলা, বিভিন্ন জাতের মাল্টা, ত্বিন ফল, পেঁপে, মিষ্টি লেবু, অ্যাভোকাডো, জয়তুন, মালবেরি জয়তুন, বিভিন্ন প্রজাতির আমসহ ফিলিপাইন আম, ব্লাকবেরি, লিচুসহ ফুল ও ফলের বাগান ছড়িয়েছেন ৪৯ বিঘা জমিতে। বাগানের এমন পরিধিতে গত বছর ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ করে আয় করেছেন ৮০ লাখ ১৪ হাজার টাকা। এ আর মামুন বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসীদের মাধ্যমে ফলের চারা সংগ্রহ করি। কৃষি বিভাগের সহযোগিতা নিয়ে বাগানে লাগাই। মানসম্মত হলে ওই গাছ থেকে চারা উৎপাদন করে বাজারজাত করি। সাদকি কমলা খুবই সাড়া ফেলেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ চারা সংগ্রহের জন্য যোগাযোগ করছেন। বিভিন্ন মাধ্যমে আগ্রহীদের মধ্যে চারা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করছি।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক মোছা. হোমায়রা ম ল বলেন, ‘সাদকি কমলার জাতটি পাহাড়ি হলেও নীলফামারীর সমতল সাদকি চাষের উপযোগী।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর