রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

পর্যটকে মুখর কক্সবাজার কুয়াকাটা, সেন্টমার্টিন

কক্সবাজার ও কুয়াকাটা প্রতিনিধি

নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ার কারণে লাখো পর্যটকে মুখর কক্সবাজার, কুয়াকাটা ও সেন্টমার্টিন সমুদ্রসৈকত। স্বাভাবিক নিয়মে মাঘ মাসের শেষে খুব বেশি শীত হওয়ার কথা থাকলেও কক্সবাজারের পরিবেশ উল্টো। সমুদ্র জেলাটির বর্তমান আবহাওয়া এখন নাতিশীতোষ্ণ হওয়ায় বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতে ও সেন্টমার্টিনে বিপুলসংখ্যক পর্যটকে মুখরিত হয়ে উঠেছে। কক্সবাজার সৈকতের লাবণী, সি গাল, সুগন্ধা থেকে পয়েন্ট দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দেখা মিলেছে পর্যটকের আনাগোনা। সৈকতের কিটকট (বিচ ছাতা) বসে অনেকে উপভোগ করছেন সাগরের বিশালতা। আবার অনেকেই সৈকতের বালিয়াড়িতে ঘোড়ার পিঠে চড়ে ছবি তুলে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার জানান, শীত মৌসুম শেষের দিকে হওয়ায় সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকে মুখরিত সাগরতীর। ভালো ব্যবসা হওয়ায় খুশি ব্যবসায়ীরাও। সৈকতের লাবণী পয়েন্টে দায়িত্বরত ট্যুরিস্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ ইসমাইল জানান, কক্সবাজারে এখন নিয়মিত লাখের বেশি পর্যটকের উপস্থিতি। পর্যটকদের নিরাপত্তায় সৈকতসহ পর্যটন স্পটগুলোতে তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। সেন্টমার্টিনেও হাজারো পর্যটকে মুখরিত। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার শহরসহ টেকনাফের দমদমিয়ার জেটিঘাট দিয়ে দৈনিক নয়টি জাহাজ এবং কায়ুকখালী (কেকে) খালের ঘাট দিয়ে অর্ধশতাধিক স্পিডবোট ও কাঠের ট্রলারে যাচ্ছেন অন্তত ৪-৫ হাজার পর্যটক। সেন্টমার্টিনে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬ থেকে ৭ হাজারে। সারি সারি যানবাহন আর উচ্ছ্বসিত পর্যটকের ভিড় সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বেলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটায়। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে আমূল পরিবর্তন হয়েছে। ইতোমধ্যে গড়ে উঠেছে পাঁচ তারকামানের আবাসিক হোটেল মোটেল ও রিসোর্ট। ছোট-বড় মিলিয়ে কুয়াকাটায় দুই শতাধিক আবাসিক হোটেল মোটেল রয়েছে। ছুটির দিনে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটেছে বলে জানিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

পর্যটক মো. আনিচুর রহমান জানান, পদ্মা সেতুর কারণে মাত্র সাড়ে পাঁচ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে কুয়াকাটায় এসে পৌঁছেছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে পরিবারের সদস্যরা অনেক আনন্দ করেছে। অপর এক পর্যটক হাফিজুর রহমান বলেন, এক সঙ্গে এত বেশি মানুষ আর কখনো দেখিনি।

তবে নির্দিষ্ট কোনো বাসস্ট্যান্ড না থাকায় সড়কের পাশে রাখা গাড়িগুলোর কারণে হাঁটা চলায় অনেকেরই বিঘ্ন হয়েছে।

কুয়াকাটা সি-ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপক হোসাইন আমির বলেন, পায়রা সেতু চালু হওয়ার পর থেকেই সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়া কুয়াকাটায় পর্যটকদের ব্যাপক চাপ থাকে।

কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরিফ বলেন, আগের তুলনায় অনেক বেশি পর্যটকের আগমন ঘটেছে। আমাদের সব হোটেল মোটেল বুকিং রয়েছে।

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জানান, আগতদের নিরাপত্তায় বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের টহল রয়েছে। এ ছাড়া সাদা পোশাকের পুলিশসহ থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশ আমাদের সঙ্গে কাজ করছে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর