বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

খসড়া নীতিমালার বিরুদ্ধে বাইকারদের মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক

খসড়া নীতিমালার বিরুদ্ধে বাইকারদের মানববন্ধন

মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালা-২০২৩ অবাস্তব ও জনবিরোধী দাবি করে এর বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন রাজধানীর মোটরবাইক চালকরা। ৩০ কিমির কম গতিতে বাইক চলাচল, মহাসড়কে দুজনের বেশি বাইক চালানো যাবে না- এমন বিধানের তীব্র সমালোচনা করেছেন তারা। গতকাল বিকালে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে এক মানববন্ধন থেকে তারা এ দাবি জানান। দাবি আদায়ে ৫ মার্চ বিআরটিএ চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার কথা জানিয়ে তারা বলেছেন, প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরও স্মারকলিপি দেওয়া হবে। তিনি সবকিছু পর্যালোচনা করে যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আমরা আশা করি। যা সমগ্র তরুণ সমাজ তথা তরুণ উদ্যোক্তাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উদ্বুদ্ধ করবে।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে শেখ মামুন নামে এক বাইকার বলেন, সরকারের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালার খসড়া তৈরি করেছে বলে গণমাধ্যমে আমরা দেখেছি। এতে বলা হয়েছে, শহরে মোটরসাইকেল ৩০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে চালানো যাবে না। মহাসড়কে ১২৬ সিসির নিচে ক্ষমতার মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না। মহাসড়কে আরোহী পরিবহন করা যাবে না। ঈদ-পূজার আগে-পরে ১০ দিন মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না। এ নীতিমালা গ্রহণযোগ্য না। আমরা মনে করি মোটরসাইকেল চলাচলে নিয়ন্ত্রণের নামে তারা দেশের অর্থনীতি, অগ্রগতির গতি রোধ করতে চাইছে। এ নীতিমালা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।

বাইকাররা বলেন, উন্নত বিশ্বের কোথাও মহাসড়কে ৬০ কিলোমিটার গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর কোনো নজির নেই। মহাসড়কে কম গতিতে যানবাহন চালালে সে দেশের কর্মকর্তারা সেটিকে ট্রাফিকের জন্য একটি বিপদ মনে করেন। কারণ তা অন্য যানবাহনের জন্য বিভ্রান্তিকর হতে পারে। তা ছাড়া মহাসড়কে অতিরিক্ত কম গতি মোটরসাইকেল চালকদের অন্য যানবাহনের মাধ্যমে দুর্ঘটনার শিকার হওয়া আরও বাড়িয়ে দেবে।

জানা গেছে, সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় গঠিত নয় সদস্যবিশিষ্ট কমিটি মোটরসাইকেল চলাচলের খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছে। কমিটিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), পুলিশ এবং সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতরের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।

খসড়া নীতিমালায় তিনটি উদ্দেশ্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো : মোটরসাইকেল চলাচল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা কমানো, অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ মোটরসাইকেল ব্যবহারে উৎসাহ তৈরি, মোটরসাইকেল চালকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো। নীতিমালায় ঈদের সময় মহাসড়কে ১০ দিন মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া আরও কিছু বিষয় যুক্ত করেছে কমিটি।

সর্বশেষ খবর