বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা
ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি

রাবির ৭ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা

রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২১-২২ সেশনে স্নাতক প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ৭ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। গতকাল নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান মামলার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত বছর ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগ এনে সাতজনের বিরুদ্ধে ‘পাবলিক পরীক্ষা অপরাধ’ আইনে মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ব্যাপারে আইনগত প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্তরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী ইয়াছির আরাফাত। তিনি রাজশাহীর কাটাখালী উপজেলার আবদুল বারীর ছেলে। ফিশারিজ বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী আলিফ হোসেন। তিনি পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার আবদুল খালেকের ছেলে। লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী আল শামস তামিম। তিনি পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার আরিফুজ্জামানের ছেলে। ফোকলোর বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী নজরুল ইসলাম। তিনি পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার সোহরাব আলীর ছেলে। লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী শিশির আহমেদ। তিনি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সামসুল হোসেনের ছেলে। ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ফজলুল করিম মাহিন।

তিনি পিরোজপুরের আজমল পাশার ছেলে এবং আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী (২০১৫-১৬ সেশন) শফিউল্লাহ। তিনি নগরীর মতিহার থানার নকিবুল্লাহর ছেলে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১-২২ সেশনে স্নাতক প্রথম বর্ষ (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে তিন ইউনিটে প্রক্সি-পরীক্ষার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করেন এ অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা। এতে ইয়াছির আরাফাত ও নজরুল ইসলামের হয়ে শিশির আহমেদ, আলিফ হোসেনের হয়ে ফজলুল করিম মাহিন, আল শামস তামিমের হয়ে শফিউল্লাহ প্রক্সি-পরীক্ষায় অংশ নেন। পরীক্ষার্থী না হওয়ার সত্ত্বেও এমন অসদুপায় অবলম্বন ‘পাবলিক পরীক্ষা অপরাধ আইন-১৯৮০’ এ অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। তাই ওই অপরাধে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা অভিযোগে বলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, গত বছর পরীক্ষা শুরুর আগেই ভর্তিকেন্দ্রিক জালিয়াতিসহ যে কোনো অসদুপায় অবলম্বন করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কেননা প্রশাসন চায় শিক্ষার্থীদের মেধার মূল্যায়ন। তাই প্রক্সিকান্ডে আটক কয়েকজনকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছিল। এমন অসদুপায় অবলম্বনকারী আরও অনেকে ভর্তি হয়েছে জানার পর বাকিদেরও বের করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও কারও বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ প্রমাণ হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে আটক পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দিয়ে হাজতে পাঠানো হয়। এ ছাড়া প্রক্সিকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজন ভর্তিচ্ছুর ফলাফল বাতিল করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর