বুধবার, ৩ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

১১ মাসেও হয়নি চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের কমিটি

নেতৃত্ব বাছাইয়ে দ্বিধায় কেন্দ্র

আজহার মাহমুদ, চট্টগ্রাম         

চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগের কমিটি ঘোষণার পর টুকিটাকি বিতর্ক ওঠে। চাপ আছে চট্টগ্রাম নগর রাজনীতির দুটি পক্ষের সমন্বয়ের। সব মিলিয়ে চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ে দ্বিধায় পড়েছে কেন্দ্রীয় যুবলীগ। বিষয়টি তারা প্রকাশ্যে স্বীকার না করলেও নানা পদক্ষেপ, আলোচনা ও রাজনৈতিক গুঞ্জনে এমনটাই শোনা যাচ্ছে। ফলে সম্মেলনের প্রায় এক বছর পূর্ণ হতে চললেও কমিটি দিতে পারেনি কেন্দ্র। চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের সম্মেলন হয় ২০২২ সালের ৩০ মে। ইতোমধ্যে ১১ মাস পার হয়েছে। দীর্ঘদিন নতুন কমিটি দিতে না পারায় দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে নানামুখী প্রতিক্রিয়া আছে। একদিকে বিতর্কমুক্ত প্রার্থী খুঁজছে কেন্দ্র। অন্যদিকে নগর রাজনীতির দুই পক্ষ সভাপতি ও সম্পাদক পদে যেমনই হোক নিজেদের পছন্দের লোক অথবা অন্তত একটি পদে নিজের অনুসারীকে স্থান দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কয়েকমাস আগে উত্তর জেলা যুবলীগের কমিটিতে আলোচিত ও যোগ্যদের বাদ দিয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে অপেক্ষাকৃত কম আলোচিত মো. শাহাজাহানের অন্তর্ভুক্তি কিছুটা নেতিবাচক আলোচনার জন্ম দেয়। ওই কমিটিতে একটি সম্পাদকীয় পদে এক রাজাকারপুত্রকে অন্তর্ভুক্তিরও অভিযোগ আছে। আবার দক্ষিণ জেলা যুবলীগের কমিটিতে অপেক্ষাকৃত প্রবীণদের মূলপদগুলোতে দায়িত্ব দেওয়ার কারণে অনেকের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে। দুই কমিটি থেকে একাধিক শীর্ষ পদের নেতা পদত্যাগ করেছেন। এসব কারণে কেন্দ্র ইতোমধ্যে বিব্রত হয়েছে। তাই নগর কমিটি ঘোষণার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে কেন্দ্র। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় যুবলীগের এক নেতা বলেন, ‘যারা দল ও সংগঠনের জন্য সর্বোচ্চ কাজে আসবেন মনে হয়েছে তাদেরই উত্তর ও দক্ষিণের কমিটিতে স্থান দিয়েছে কেন্দ্র। সেখানে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাব খুব একটা কাজ করেনি। তবে চট্টগ্রাম নগর রাজনীতিতে দুটি পক্ষ অনেকটা অপেন সিক্রেটভাবে নিজেদের প্রভাব জাহির করে। তাই বিষয়টি বিবেচনায় না রেখে উপায় নেই।’ যুবলীগের একাধিক সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের দুই শীর্ষ নেতা সভাপতি ও সম্পাদক পদে যাদের চাইছেন তারা কেন্দ্রের সমীকরণের সঙ্গে পুরোপুরি খাপ খাচ্ছে না। এ কারণে কেন্দ্র বিষয়টি নিয়ে দ্বিধার মধ্যে আছে। এ ছাড়া উত্তর ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগের কমিটি ঘোষণার পর শীর্ষ পদের একাধিক নেতার পদত্যাগে কেন্দ্র সমালোচনায় পড়ে।

নগর যুবলীগের সম্মেলনের সময় সভাপতি পদে ২৮ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৬৫ জন প্রার্থী জীবনবৃত্তান্ত দেন। এসব প্রার্থী প্রায় সবাই সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী।

এদিকে দীর্ঘ সময় কমিটি ঘোষণা না হওয়ায় কিছুটা আক্ষেপ থাকলেও কেন্দের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কিছু বলতে নারাজ পদপ্রত্যাশীরা। তবে সভাপতি পদপ্রত্যাশী এ আর আজিম বলেন, ‘দীর্ঘদিন রাজনীতি করি। দল ও সংগঠনের সিদ্ধান্তের বাইরে কখনো যাইনি। বাকি জীবনেও যাব না। সংগঠন যাদের ভালো মনে করবে, যোগ্য মনে করবে, যখন প্রয়োজন মনে করবে, তখনই কমিটি দেবে। এখানে আক্ষেপের কিছু নেই।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর