জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। পাশাপাশি বৈঠকে নিবন্ধনহীন দলকেও ডাকা হয়েছে; কিন্তু কোন যুক্তিতে সংলাপে ডাকা হয়েছে সেই প্রশ্নও উঠেছে। গতকাল ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার সংলাপের বিরতিতে সাংবাদিকদের সামনে এসব প্রশ্ন তোলেন এনসিপির তরফে সংলাপের নেতৃত্ব দেওয়া রাজনৈতিক লিয়াজোঁ কমিটির প্রধান আরিফুল ইসলাম আদিব ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। আরিফুল ইসলাম আদিব বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যে পদ্ধতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তাদের দল নির্বাচন করার যে পদ্ধতি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছি। জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে কোন পদ্ধতিতে জাতীয় সনদ বা জুলাই সনদ তৈরি হবে তা নিয়ে তারা ৬টি প্রস্তাবনা দিয়েছেন। তা ছিল, নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে অথবা নির্বাচনের আগে গণভোট অথবা নির্বাচনের সময় গণভোট অথবা গণপরিষদ নির্বাচন বা আইন সভা নির্বাচন। আরেকটা প্রস্তাব ছিল নির্বাচনের পর সংসদে সাংবিধানিক সংস্কার। ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি হিসেবে তাদের প্রস্তাবের ৬টির মধ্যে তিনি এখন একটি প্রস্তাবের দিকে হেলে যান, যে প্রস্তাবটি দিয়েছে বিএনপি।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুর বলেন, ‘একটি বিশেষ দলকে প্রাধান্য দিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ বা আলোচনাটা নিয়ে যাওয়ার একটা অভিযোগ প্রতীয়মান হওয়ায়, জামায়াতসহ কিছু কিছু দল করছে, আমরাও বলেছি, এখানে সব রাজনৈতিক দলের বাইরেও গণআন্দোলনে অনেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এখানে সাংবাদিকসহ সব পেশাজীবী সংগঠনেরও মতামত নেওয়া দরকার। এখানে কোন দলকে কোন ক্রাইটেরিয়ায় সিলেক্ট করা হয়েছে তাও আমরা জানি না। অনেক ক্ষেত্রে নিবন্ধিত, অনিবন্ধিত দল নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।’
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহীন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘আগামী নির্বাচন কীভাবে দলীয় প্রভাবমুক্ত করা যায়, কীভাবে টাকার খেলা বন্ধ করা যায়, পেশি শক্তি মুক্ত করা যায়। সাম্প্রদায়িক আঞ্চলিক প্রচারণা মুক্ত করা যায়, ভয়ের রাজত্বমুক্ত করা যায়, এমনকি প্রশাসনিক কারসাজি মুক্ত করা যায় এসব বিষয়ে আমরা বলেছি। এ বিষয়ে উনারা বইয়ে কিছু কথা লিখেছেন। কিন্তু জনগণের সামনে আলোচনায় আনছেন না। এটা একটা জরুরি কর্তব্য বলে মনে করি। এখনো আমরা সেই আলোচনায় ঢুকতেই পারিনি। উনাদের সঙ্গে এর আগেও আলোচনা করেছি।