চলতি অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে প্রসাধনীপণ্যের ন্যূনতম শুল্কায়ন মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানোর প্রস্তাবের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ কসমেটিকস অ্যান্ড টয়লেট্রিজ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে সংগঠনের নেতারা বলেন, এই অবান্তর শুল্কনীতি বৈধ আমদানিকে নিরুৎসাহিত করবে, চোরাচালান বাড়াবে, বাজারে নকল ও মানহীন পণ্যের দৌরাত্ম্য তৈরি করবে এবং প্রায় ২৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হুমকির মুখে পড়বে। সংগঠনের সভাপতি মো. জহিরুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘বর্তমানে প্রসাধনীপণ্যের ওপর নির্ধারিত ন্যূনতম শুল্কায়নমূল্য আন্তর্জাতিক বাজারমূল্যের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি। এতে বৈধ আমদানির পথ বন্ধ হয়ে যাবে এবং বাজারে সয়লাব হবে নকল ও নিম্নমানের পণ্যে। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি।’
বিসিটিআইএর সাধারণ সম্পাদক মো. সাহিদ হোসেন বলেন, ‘এই অযৌক্তিক মূল্যনীতি বজায় থাকলে রাজস্ব না বাড়িয়ে বরং রাজস্ব ফাঁকি, ভুল ঘোষণা এবং চোরাচালান বাড়বে। ইতোমধ্যে সিলেটে বিজিবি ৭ কোটি টাকার চোরাই প্রসাধনীপণ্য জব্দ করেছে, যা আমাদের শঙ্কাকে সত্য প্রমাণ করে।’ মানববন্ধনে বিসিটিআইএর নেতারা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত প্রসাধনী ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা অংশ নেন। বক্তারা সরকারের প্রতি অনতিবিলম্বে বর্তমান শুল্কায়ন কাঠামো পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান এবং শুল্কহার বাস্তবভিত্তিক ও সহনীয় পর্যায়ে নির্ধারণের জোর দাবি জানান।