নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘হামলা-মামলায় এখন আর বিএনপি ভয় পায় না। পিআর পদ্ধতি (ভোটের অনুপাত) জনগণের মাথায় ঢোকানোর আগে তাদের ভোট দেওয়া শেখান। নতুন পদ্ধতির কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করলে জনগণ তা রুখে দেবে।’ গতকাল বিকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে জুলাই-আগস্ট গণ অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু। বক্তব্য দেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, বাণিজ্য সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরাফত আলী সপু, মীর আলী নেওয়াজ, ইশরাক হোসেন, দক্ষিণের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা। সভা সঞ্চালনা করেন ঢাকা দক্ষিণের সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিন।
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতি প্রমাণ করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’ তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘এ দেশে তালেবানি নির্বাচন চলবে না, জনগণ তা মেনে নেবে না। বিএনপির বিরুদ্ধে মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করে লাভ নেই। আমরা ১৭ বছর আন্দোলন করেছি, প্রয়োজনে আরও ১৭ বছর আন্দোলন করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘যারা একসময় ভাত খেতে পারত না, তারা আজ টাকার কুমির হয়েছে। আমরা সরকারের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই-তারা এত টাকা কোথায় পেল?’ তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে দমন করা যাবে না। প্রয়োজনে জীবন দিতেও প্রস্তুত আছি। আমরা কোনো দালালির রাজনীতি করি না। আমরা জনগণের রাজনীতি করি।’
দক্ষিণের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী বলেন, ‘ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে জুলাই আন্দোলন জোরালো হয়। ছাত্র-জনতা এখানে অংশ নিয়েছিল। যাত্রাবাড়ীতে বিএনপি-যুবদল-ছাত্রদলের নেতারা অংশ নিয়েছিল। শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছিল সেই আন্দোলন থেকেই।’ তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার নীতিই ছিল মানুষ খুন আর গুম। বিগত ১৫ বছর বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মী গুম-খুনের শিকার হয়েছে।’