সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সামনে মানববন্ধন করেছেন পাবনা-১ সংসদীয় আসনের মানুষ। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নির্বাচন ভবনের সামনে আসনটির কয়েক শ বাসিন্দা জড়ো হন। তাদের হাতে সীমানা পুনর্বহালের দাবি লেখা প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। এ সময় তারা ‘ইসির অবৈধ গেজেট মানি না, মানব না’, ‘পাবনার সাঁথিয়া-বেড়া ভাই ভাই, বিভক্তি মানি না’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
বেড়া পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আসাদুজামান নয়ন বলেন, আমরা পাবনা-১ আসনের বেড়া উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের পক্ষে এখানে এসেছি। আমাদের দাবি এ আসনের সীমানা পুনর্বহাল। বেড়া উপজেলা পরিষদ থেকে সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদের দূরত্ব ৮ কিলোমিটারেরও কম।
আর বেড়া থেকে সুজানগর উপজেলা পরিষদের দূরত্ব ৩৮-৪০ কিলোমিটার। সুতরাং ভৌগোলিক বাস্তবতায় সাঁথিয়ার সঙ্গেই বেড়ার সংযোগ সবচেয়ে যৌক্তিক, এ দাবি আমাদের। পাবনা-১ ও ২ আসন আগের মতো রাখতে চাইলেও আপত্তির মধ্যে ইউনিয়নগুলো বাদ দিয়ে উপজেলার অখণ্ডতা রেখে সীমানায় পরিবর্তন এনেছে ইসি।
এবার পাবনা-১ আসনে জায়গা পেয়েছে সাঁথিয়া উপজেলা, বেড়া উপজেলার বেড়া পৌরসভা, হাটুরিয়া নাকালিয়া, নতুন ভারেংগা, চাকলা ও কৈটোলা ইউনিয়ন। আর সুজানগর উপজেলা এবং বেড়া উপজেলার বাকি অংশ নিয়ে পাবনা-২ আসন করেছে ইসি।
বেড়া কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সালমান হোসেন বলেন, পাবনা-১ আসনে সাঁথিয়া ও বেড়া (আংশিক) পূর্বের সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন করছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান করব। সাঁথিয়া আংশিক বেড়া পুনর্বহালের জন্য সাতটি কারণ তারা তুলে ধরেছেন।
এলাকাবাসী বলছে, ভৌগোলিক অবস্থান, ভোটার ভারসাম্য, নীতিমালা, শিক্ষা-সংস্কৃতি, নদীবন্দর, যোগাযোগ ব্যবস্থা, প্রশাসনিক কাঠামো ও ঐতিহাসিক বাস্তবতা বিবেচনায় সাঁথিয়া ও আংশিক বেড়া পুনর্বহালই একমাত্র যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য সমাধান।
৩০০ আসনের সীমানা চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এরপর থেকে সারা দেশের অনেক জায়গায় সীমানা নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট আসনের এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোযারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, সীমানা পুনর্নির্ধারণে ইসি সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করেছে। এ নিয়ে আদালত বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই।