পটুয়াখালী-৪ আসন দেশের সর্ব দক্ষিণের বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষা কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী দুটি উপজেলা, দুটি পৌরসভা এবং মহিপুর থানা নিয়ে গঠিত। এ আসনে ইউনিয়ন রয়েছে ১৮টি। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সারা দেশের মতো এ আসনেও সরব হয়ে উঠেছে বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। ভোটের মাঠ গোছাতে মরিয়া দলগুলোর নেতা-কর্মীরা।
এ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন-বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, পটুয়াখালী-৪ আসনের সাবেক এমপি মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির। জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী কলাপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল কাইউম। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব ফাতিমা তাসনিমের নাম শোনা যাচ্ছে। গণঅধিকার পরিষদ ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
বিএনপি নেতা এ বি এম মোশারফ হোসেন বলেন, আমার নির্বাচনি আসনের দুটি উপজেলার সব ইউনিয়নে গণসংযোগ শেষ, জনসভা শেষ। আমরা এখন সেন্টারভিত্তিক কাজগুলো গুছাচ্ছি। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির বলেন, আমাদের এখানে কোনো গ্রুপিং নেই। প্রচার-প্রচারণা প্রতিযোগিতাটা আলাদাভাবে বেশ ভালোই চলছে।
জামায়াতের প্রার্থী মুহাম্মদ আবদুল কাইউম বলেন, ১ লাখ লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। প্রত্যেক পরিবারের কাছে একটি করে লিফলেট পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি। বাজারের দোকানগুলোতে যাচ্ছি। দেখা-সাক্ষাৎ, সালাম বিনিময় করছি। গণসংযোগ, ছোটখাটো পথসভাও করছি।
সব জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের সেন্টার কমিটি অনেক আগেই গঠন হয়ে গেছে। আমরা এখন বুথ কমিটি করার কাজ করছি।
বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব ফাতিমা তাসনিম বলেন, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, মাঠে মানুষের আগ্রহ ও সম্পৃক্ততা তত বাড়ছে। বিশেষ করে তরুণ ভোটাররা এবার অনেক বেশি সচেতন এবং বিকল্পের দিকে তাকিয়ে আছেন। তারা পরিবর্তন চায়, চায় যোগ্য, সৎ ও জনবান্ধব প্রতিনিধিত্ব। আমরা আশাবাদী, এই নির্বাচনে জনগণ নির্ভয়ে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।