রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ফের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। রবিবার প্রক্টর ও ছাত্র পরামর্শ দপ্তর বরাবর অভিযোগ প্রদান করেন দুই শিক্ষার্থী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ও যৌন-নিপীড়ন সেলের সদস্যসচিব ড. ইলিয়াছ প্রামাণিক। অভিযুক্তরা হলেন, ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর মো. শামীম হোসেন। তার বিরুদ্ধে ৩১ পৃষ্ঠার স্বহস্তে একটি যৌন হয়রানির অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে একই বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী। অন্যদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক ড. শাকিবুল ইসলামের বিরুদ্ধেও একই বিভাগের এক শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. ফেরদৌস রহমান জানিয়েছেন, যে অভিযোগ পাওয়া গেছে সেটি আগামী সাত দিনের মধ্যে সভা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় প্রধান বরাবর একটি অভিযোগপত্র জমা দেন। সেখানে তারা ওই শিক্ষকের ক্লাস পরীক্ষাসহ সব ধরনের কাজ থেকে বিরতসহ যৌন হয়রানির কথা উল্লেখ করা হয়। অভিযোগপত্রে ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে খারাপ ইঙ্গিত করা, কুপ্রস্তাব, খারাপ টাচ করাসহ একাধিক অভিযোগ উল্লেখ করেন। অভিযোগের বিষয়ে ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শামীম হোসেনকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অভিযুক্ত ড. শাকিবুল ইসলাম বলেন, আমি এ ব্যাপারে অবগত নই। আর আমি এমন মানুষ না। আমি বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানাচ্ছি। এ বিষয়ে ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা গত বৃহস্পতিবার একটি অভিযোগপত্র পেয়েছি। সেখানে এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের ৩১ জন শিক্ষার্থী স্বাক্ষর করেছে। সেখানে তারা অভিযুক্ত শিক্ষকের সব ধরনের ক্লাস, পরীক্ষা বিরত রাখার জন্য বলেছে। আমরা এ বিষয় নিয়ে বিভাগে জরুরি মিটিং করেছি। সেখানে কিছু নারী শিক্ষার্থী গুরুতর অভিযোগের কথা বলেন। বিষয়টি নিয়ে পুনরায় আমরা মিটিং করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. এমদাদুল হক বলেন, একটি যৌন হয়রানির অভিযোগ বিভাগেও এসেছে। আমাদের রিসার্চের একজন শিক্ষার্থী এই অভিযোগ দেন। বিষয়টি নিয়ে মিটিং ডেকেছি। যৌন-নিপীড়ন সেলের সদস্যসচিব ড. ইলিয়াছ প্রামাণিক বলেন, একটা অভিযোগপত্র এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত যৌন-নিপীড়ন সেলের আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।