করোনাভাইরাস প্রতিরোধে রংপুরে ৬৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রংপুরের বিভাগীয় কমিশনারও রয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে অবস্থান নেওয়াদের সকলেই বিদেশফেরত।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্র জানায়, ১০ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত সাতদিনে রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় মোট ৬৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে আছেন। রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কেএম তরিকুল ইসলামকে রংপুর সার্কিট হাউসের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তিনি সম্প্রতি বিদেশ থেকে এসেছেন।
রংপুর স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. আমিনুল ইসলাম বলেন, বিভাগীয় কমিশনারকে রংপুর সার্কিট হাউজে রাখা হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের সবাই সুস্থ। তাদের দেহে করোনাভাইরাস আছে কি-না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ১৪ দিন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তাই আশপাশের মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) জাকির হোসেন জানান, স্যার সোমবার আমেরিকা থেকে এসেছেন। সরকারি নিয়মানুযায়ী ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এ কারণেই তিনি সার্কিট হাউসে রয়েছেন।
রংপুর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, রংপুর জেলায় মোট পাঁচজন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। এর মধ্যে বিভাগীয় কমিশনার রয়েছে। রংপুর নগরীর কেল্লাবন্দে সিঙ্গাপুর ফেরত এক ব্যক্তি হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তিনি ১৪ মার্চ সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আসেন। কাউনিয়া উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন তিনজন। এদের মধ্যে দু’জন দুবাই থেকে ৬ মার্চ এবং ৯ মার্চ দেশে আসেন। বাকি একজন এসেছেন ৯ মার্চ ইতালি থেকে।
সিভিল সার্জন হিরম্ব কুমার রায় বলেন, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা সব ব্যক্তি সুস্থ। বর্তমানে ভালো আছেন তারা। তবে তাদেরকে ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক