চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রথম করোনভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী করোনা। এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৯৬৫ এবং মারা গেছেন ১৬ হাজার ৫১৫ জন। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ২ হাজার ৬৯ জন।
এদিকে, করোনাভাইরাস নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে ইউরোপের দেশ স্পেন। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫১৩৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৩১১ জনের। এছাড়াও বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত চিকিৎসাধীন ৩৯৪৭০ জনের মধ্যে ২৩৫৫ জনের অবস্থা গুরুতর। এছাড়াও দেশটিতে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৩৩৫৫।
গত ৩১ জানুয়ারি স্পেনের টেনেরিফে প্রথম একজন জার্মান পর্যটকের এ ভাইরাস শনাক্ত হয়। এ সময় স্পেন সরকার তেমন একটা পাত্তা দেয়নি।
তবে ১৪ মার্চ পরিস্থিতি খারাপ হলে অ্যালার্ট ঘোষণার মধ্যে নিয়ে ২০০ বিলিয়ন ইউরো প্রণোদণা প্যাকেজ এনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট পেদ্রো সানজেস।
প্রেসিডেন্ট তার বক্তব্য সবচেয়েও গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য খাতে নানা উদ্যেগ গ্রহণের কথা জানান। ইতোমধ্যে স্থান সংকুলান না হওয়ায় স্পেনের সবকটি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। হাসপালগুলোতে স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে ৫০ হাজার নিয়োগের কথা বলা হয়েছে।
এছাড়াও মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের এ দুর্যোগ মোকাবেলায় যোগদানের আহ্বান জানান স্পেনের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রী সালভাদর ইয়া |
গত ২১ মার্চ প্রেসিডেন্ট সানজেস আরও বলেছেন, এ যুদ্ধ কঠিন, তাই চিকিৎসা সেবার জন্য সময়ের মূল্যের ওপর সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন। পাশাপাশি একত্রে শক্তিশালী হয়ে এ মহাদুর্যোগ মোকাবেলা করতে স্পেনিশ জনগণকে উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন তিনি|
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন