করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ভারতে ১৪ ঘণ্টার জনতা কারফিউ শেষে এখন প্রায় ৮০টি জেলায় সর্বাত্মক লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক মানুষের বসতির এ দেশটিতে করোনাভাইরাস ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এদিকে, সোমবার সকাল থেকে বিদেশ থেকে ফিরে কেউ ঘরে লুকিয়ে, কেউ দোকান খুলে রেখেছেন-এমন সব খবর পেয়ে ব্যস্ত ছিল পুলিশ। হঠাৎ সন্ধ্যা ৭টা দিকে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপারের মোবাইলের ইনবক্সে একটি খবর আসে।
তাতে দেখা যায়, বারাসতের রথতলার কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে একটি হুক্কা বার থেকে লাইভ করছেন এক তরুণী। পাশে জনা দশেক ছেলেমেয়ে। ডিজে চলছে, তার সঙ্গে মদ্যপান। নাচতে নাচতে ওই তরুণী বলছেন, ‘করোনা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। স্রেফ পার্টি করো।’
এ ঘটনায় বারাসত থানার পুলিশ কর্মকর্তা দীপঙ্কর ভট্টাচার্যকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। দেখা যায়, তখনও চলছে পার্টি। তারা সবাই দশম, একাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রী। পরে ওখান থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়। গ্রেফতার করা হয় ‘হ্যাংওভার’ নামে বারটির মালিককে। সিল করে দেয়া হয় বারটিকে।
পুলিশ জানায়, সরকারি নির্দেশ ছাড়াও একেবারে অত্যাবশকীয় পণ্য ছাড়া সমস্ত কিছু বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অত্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া কিংবা একসঙ্গে ৫ জন জড়ো হওয়াও বারণ। কোনো নির্দেশই এ ক্ষেত্রে মানা হয়নি।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে করোনভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৯৬৫ এবং মারা গেছেন ১৬ হাজার ৫১৫ জন। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ২ হাজার ৬৯ জন।
অন্যদিকে, ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫০৮ জন এবং মারা গেছেন ১০ জন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন