করোনাভাইরাস আতঙ্কে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে। বাজারে ক্রেতা নেই তবু চড়া সবজি, মাছ, মাংস, চাল, ডালের বাজার।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে সবজিভেদে কেজিপ্রতি পাঁচ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। চড়া দাম রয়েছে শাকের বাজারেও। কেজিতে সাত থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি রয়েছে চালের বাজারে। লিটারে তিন থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বাড়তি রাখা হচ্ছে খোলা ভোজ্যতেলের দাম। চড়া রয়েছে মাছের বাজারও। কেজিতে ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন প্রকারের মাছ।
তবে গরুর মাংসের দাম বাড়লেও কমেছে মুরগি ও ডিমের দাম। এছাড়া আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন মসলার বাজার। তবে অপরিবর্তিত আছে পেঁয়াজ ও রসুনের দাম।
বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি পাঁচ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে আকারভেদে আলু বিক্রি হচ্ছে ২৮ থেকে ৩৫ টাকা, চিচিঙ্গা ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, সিম ৫০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ৪০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ১০০ থেকে ১১০ টাকা, উস্তা ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ১০০ টাকা, গাজর বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কচুর লতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বড় কচু ৬০ থেকে ৮০ টাকা, বিট ৫০ থেকে ৮০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৮০ টাকা, সিমের বিচি ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে গরুর মাংসে প্রতিকেজি ২০ টাকা বেড়ে বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা। এছাড়া আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে মহিষ ও খাসির মাংসের দাম। মহিষের মাংস ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ টাকা, বকরি ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে কমেছে মুরগির দাম। এসব বাজারে প্রতিকেজি বয়লার ১০ টাকা কমে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা, লেয়ার ২০০ টাকা থেকে ২১০ টাকা, সাদা লেয়ার ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, সোনালি ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা কেজিদরে। লাল ডিম প্রতি ডজন ৯৫ থেকে ১০৫ টাকা, দেশি মুরগি ১৫০ টাকা, সোনালি ১৪০, হাঁস ১৩০ টাকা, কোয়েল প্রতি ১০০ পিস ২০০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ