করোনাভাইরাস সন্দেহে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তিকৃত সাত মাসের শিশুর নমুনা সংগ্রহ করেছে আইইডিসিআর। আজ শুক্রবার দুপুরে আইইডিসিআর’র খণ্ডকালীন ল্যাব টেকনিশিয়ান মো. লিটন আলী ওই শিশুটির শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন ডা. এ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, ওই শিশুর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর’র ল্যাব টেকনিশিয়ান ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। সংগৃহীত নমুনা আইইডিসিআর’র ঢাকার নিজস্ব ল্যাবে নিয়ে পরীক্ষার পর জানা যাবে শিশুটি আসলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মোসা. নূরুন-নাহার বেগম জানান, শিশুটির শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তার শরীর থেকে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষায় জানা যাবে সে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না। তবে এই চিকিৎসক জানিয়েছেন, যদি শিশুটি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন তাহলে হাসপাতালের কয়েকজন ডাক্তার, নার্স এবং ওই শিশুটি দুইদিন হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি থাকায় সেখানকার কয়েকজন শিশু এবং তার স্বজনদের কোয়ারেন্টাইনে নিতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ মার্চ শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা। ওই সময় তার জ্বর, ঠান্ডা ও কাশি ছিল। সে সময় শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় শিশুটিকে। এখানে তাকে নিউমোনিয়ার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার শিশুটির অবস্থা অবনতির দিকে গেলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সন্দেহে আইসোলেশন ওয়ার্ডে নেওয়া হয়েছে তাকে। হাসপাতালে ভর্তির সময় শিশুটির পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছিলেন, তাদের কেউ বিদেশে থেকে আসেননি বা প্রবাসী কারও সংস্পর্শে যাননি কেউ।
পরে বৃহস্পতিবার সকালে শিশুটির অবস্থা অবনতির দিকে গেলে চিকিৎসকেরা ওই পরিবারের সদস্যদের আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় ওই পরিবারের এক আত্মীয় জানান, শিশুটির বাবা ৯ মার্চ সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আসেন। তিনি পরিবারের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে ছিলেন। এ তথ্য জানার পর শিশুটিকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক