কুড়িগ্রামের রৌমারীতে করোনার উপসর্গ নিয়ে গাজীপুরফেরত নারী গার্মেন্ট কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি গত দুই সপ্তাহ আগে রৌমারীতে তার বাবার বাড়িতে আসেন।
বুধবার দুপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোমেনুল ইসলাম।
তিনি জানান, রৌমারী উপজেলার চর শৌলমারী ইউনিয়নের পাখিউড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে (২২) গাজীপুরে একটি গার্মেন্টে কাজ করত। গত দুই সপ্তাহ আগে তিনি সর্দি, জ্বর ও কাশি নিয়ে বাবার বাড়িতে একাকী চলে আসেন। এ অবস্থায় এলাকার লোকজন তাকে বাইরে বের হতে নিষেধ করেন। পরে সর্দি, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বুধবার দুপুরে তার বাবার বাড়িতেই মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর পর উপজেলা স্বাস্থ্যবিভাগ তার ও বাড়ির আরো দুই সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে।
করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ার কারণে তার দাফনে স্বজনরা এগিয়ে না এলেও উপজেলা স্বাস্থ্যবিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন লাশ দাফন করে বলে জানা গেছে।
এছাড়া এ ঘটনার পর ওই বাড়ির আশেপাশের ১৫টির বাড়ির লোকজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলেছে স্বাস্থ্যবিভাগ।
এদিকে সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলা সদরে ১ জন, চিলমারীতে ১ জন ও রৌমারীতে ৩ জন মিলে আরো ৫ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছে ১৪৮ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৮৪ জন।
তিনি জানান, দরিদ্রপীড়িত জেলা কুড়িগ্রামে টাকা দিয়ে নমুনা পরীক্ষার হার অনেক কমে গেছে। যেহেতু সরকার পরিপত্র জারি করেছে নমুনা সংগ্রহে ফি দিতে হবে সেকারণে এখন টেস্টের হার কমে যাবে। এ পর্যন্ত জেলা থেকে ৩ হাজার ১৩০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর পাঠানো হয়। ফলাফল স্বাস্থ্যবিভাগে এসেছে ২ হাজার ২৮৪ জনের।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন