এলাকাভিত্তিক করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধির ফলে ইংল্যান্ডের অন্তত ৩৬টি কাউন্সিল দ্বিতীয় দফা কঠোর লকডাউনে যেতে পারে। এর বাইরে সরকারের গভীর পর্যবেক্ষণে রয়েছে ১৫১টি এলাকা।
লেস্টারের পর লকডাউনে যেতে পারে দক্ষিণ ইয়র্কশায়ারের ডনকাস্টার এবং ব্রাডফোর্ড।
লন্ডন এম্পেরিয়েল কলেজের প্রফেসার এবং সরকারের সাবেক উপদেস্টা নেইল ফারগুসন এই আশঙ্কার কথা জানিয়ে বলেছেন, লেস্টারের মতো ডনকাস্টার এবং ব্রাডফোর্ডে আপাতত এতোটা ঝুঁকি নেই কিন্তু প্রতি ১ লাখে সংক্রমণের হার এই দুই এলাকায় যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে খুব বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না লকডাউনে যাবার জন্য। ডনকাস্টারে গত মঙ্গলবার আরও দু জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে সাউথ ইয়র্কশায়ারে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ২২৩ জনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।ডনকাস্টারে গত ১৩ থেকে ১৯ জুনে ভেতরে নতুনভাবে সংক্রমিত হয়েছিল মাত্র ১১ জন। কিন্তু ২০ থেকে ২৬ জুনের ভেতরে সংক্রমিত হয় ৩২ জন। ডনকাস্টারে বর্তমানে ৯৫০ জন করোনা রোগী রয়েছে। আর দক্ষিণ ইয়র্কশায়ারের মধ্যে ডনকাস্টারের গত মঙ্গলবার সবচাইতে বেশি মৃত্যু হয়েছে।
হেল্থ সেক্রেটারি ম্যাট হ্যানকক বলেন, “লেস্টার সিটিতে ১০ শতাংশ করোনা পজেটিভ রোগী পাওয়া যাচ্ছে। তাই বৃহস্পতিবার থেকে লেস্টার সিটি দ্বিতীয়বারের মত লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
তবে লেস্টার, ডনকাস্টার এব ব্রাডফোর্ড ছাড়াও গ্রেটার লন্ডনের বেশ কয়েকটি কাউন্সিল দ্বিতীয়বার লকডাউনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে বার্কিং অ্যান্ড ডেগানহ্যাম, ব্রেন্ট, ইলিং, এনফিল্ড, হ্যারিংগে এবং হান্সলো। আরও আছে নর্থ ইস্ট অ্যান্ড গেইটসেইড, সান্ডারল্যান্ড, রেডক্যার , ক্লেভেল্যান্ড সহ বেশ কয়েকটি বারা কাউন্সিল। এগুলোসহ ইংল্যান্ডের অন্তত ৩৬টি বারা কাউন্সিল দ্বিতীয় দফায় এলাকা ভিত্তিক লক ডাউনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এছড়া আরও ১৫১ টি এলাকা সরকারের পর্যোবেক্ষণে রয়েছে বলে হেলথ সেক্রেটারি জানিয়েছেন। এই সব এলাকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সংখ্যা বেশি।
হেলথ সেক্রেটারি জানান, দ্বিতীয় দফায় এলাকাভিত্তিক লকডাউন হবে আরও বেশী কঠোর। লকডাউন এলাকায় স্কুল, কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে, নন-এসেন্সিয়াল দোকান পাট, শপিং মলসহ সব কিছু বন্ধ থাকবে। একেবারে প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাতায়াতের ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। বাইরের কাউকে লকডাউন এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
সরকার আশা করছে, জনসাধারণ সহযোগিতা করবে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম