করোনা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। করোনায় এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭ লাখ ৮৪ হাজারের মতো। আক্রান্ত হয়েছেন ২ কোটি ২২ লাখের বেশি। এর মাঝে ফের দক্ষিণ কোরিয়ায় খারাপ হতে শুরু করেছে করোনা পরিস্থিতি। গেল বুধবার পাঁচমাস পর সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনা আক্রান্ত শনাক্ত করা হয়েছে দেশটিতে। নতুন করে দেশটিতে ২৯৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এতে করে দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৫৮ জন। মারা গেছে ৩০৬ জন।
আক্রান্তদের শতকরা ৯০ ভাগ রাজধানী শহর সিউলে। দেশটির উপস্বাস্থ্য মন্ত্রী কিম গ্যাং লিপ জানান, আমরা মারাত্মক বিপজ্জনক সংকটে রয়েছি যেখানে সিউল অঞ্চলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে এবং দেশব্যাপী ব্যাপক সংক্রমণের দিকে যাচ্ছে। সরকার এই পরিস্থিতিতে কিছু করতে পারবে না। এজন্য বাড়িতেই থাকুন। এরই মধ্যে সারাং জেইল নামের একটি গির্জা থেকে ১৪০ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এতে করে গীর্জা থেকে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬০০ জনে। দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রথম করোনা ছড়ানোর ক্ষেত্রে এই গীর্জার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। গির্জাটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৫ হাজার ২০০ জনের দেহে কভিড-১৯ শনাক্ত করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী লি নাক ইয়োন ওই চার্চের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন। এভাবে যদি সংক্রমণ দিনের পর দিন বাড়তেই থাকে সেক্ষেত্রে কঠোর নির্দেশনা জারি করা হতে পারে।
এদিকে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে সাধারণ জনগণের সুবিধার জন্য স্মার্ট বাসস্ট্যান্ড চালু করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। বাসে ওঠার আগে দেখে নেওয়া যাবে যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা। নির্দিষ্ট তাপমাত্রার বেশি হলে বাসে উঠা যাবে না। পাশাপাশি ভাইরাস নিস্ক্রিয় করার জন্য রাখা হয়েছে আলট্রাভায়োলেট ল্যাম্প। এই বিশেষ ধরনের ১০টি আধুনিক বাসস্ট্যান্ড চালু করা হয়েছে সিওলে।
বাসস্ট্যান্ডে রয়েছে স্মার্ট স্ক্রিন, থার্মাল ইমেজ ক্যামেরাসহ একাধিক সুবিধা। এমনকি ফ্রি ওয়াই ফাইয়ের সুবিধাও রয়েছে। সকল যাত্রীদের তাপমাত্রা ৯৯.৫ ফারেনহাইট এর নিচে আছে কিনা, তা পরীক্ষার জন্য থার্মাল ক্যামেরা স্মার্টস্ট্যান্ডে লাগানো আছে। শিশুদের জন্য আলাদা থার্মাল ইমেজ ক্যামেরা রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার